মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ন এনায়েতনগর ইউনিয়নের কাঁঠালতলা নামকস্থানে খালের ওপর নির্মিত পাকা ব্রিজ ভেঙ্গে এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ ব্রিজটির উপরদিয়ে উপজেলার ফাঁসিয়াতা, এনায়েতনগর, লক্ষীপুর ও পূর্ব এনায়েতনগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ সদরে যোগাযোগ করে থাকেন। এখানে কোন বিকল্প সড়ক না থাকায় প্রতিদিন এ ভাঙ্গা ব্রিজের উপর দিয়ে চলছে অসংখ্য পথচারি ও যানবাহন। ফলে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। প্রায় ১৫ বছর আগের নির্মিত এ ব্রিজটি সংস্কার না করায় দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে। প্রায় দুই-তিন মাস আগে ভেঙ্গে গেছে ব্রিজের মাঝখানের দুইটি অংশ। কংক্রিটের পলেস্তারা খসে বেরিয়ে গেছে লোহার রড। ফলে সৃষ্টি হয়েছে বড়-বড় দুইটি গর্ত। গর্তের দুইপাশে যেটুকু জায়গা আছে তাদিয়ে হেটে চলাচল করা গেলেও যানবাহন পারাপার করতে হচ্ছে মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে। এ কারনে প্রায় সময় ঘটছে দূর্ঘটনা। জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি জরুরিভাবে সংস্কারের দাবী যানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারন। এদিকে ওই ব্রিজটি নতুনভাবে করার পূর্ব পর্যন্ত যাতে করে সাধারন জনগন চলাচল করতে পারে সেজন্য দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে যানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করীম।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজিমন ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এনায়েনতনগর গ্রামের খালের ওপর নির্মিত পুরানো ব্রিজটির উপরের অংশের সিমেন্টের ঢালাই ধসে গেছে। ফলে ব্রিজের উপরে দুইটি বড়-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ব্রিজের রড বের হয়ে গেছে। ওই গর্তের পাস দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যান চলাচল করছে। যান চলাচলের সময় দুর্ঘটার শিকার হচ্ছেন চালক ও যাত্রীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ওই গর্তের পাস দিয়েই হেটে প্রতিনিয়ত ব্রিজ পার হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে ্রব্রিজের উপর ওই বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ধীরে-ধীরে ওই গর্ত বড় হয়ে যে কোন মুহূর্তে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়তে পারে এবং কি ব্রিজটি যে কোন মুহূর্তে খালের মধ্যে ধসে পরে যেতে পারে। এদিকে ওই ব্রিজটি নতুনভাবে করার পূর্ব পর্যন্ত যাতে করে সাধারন জনগন চলাচল করতে পারে সেজন্য দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করীম।
শিক্ষার্থী আরমান হোসাইন, ব্যবসায়ী হাশেম সরদার, পথচারি মোশারফসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি ব্রিজ পারাপার নিয়ে। কোন সময় ব্রিজের গর্তের ফাঁকা দিয়ে পরে গিয়ে আমাদের মৃত্যু বরন করতে হয়। তাই আমাদের জীবন বাঁচাতে হলে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার ও নির্মাণ করার প্রয়োজন। এটা আমাদের প্রানের দাবিতে পরিনত হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, ওই ব্রিজটি নতুনভাবে করার পূর্ব পর্যন্ত যাতে করে সাধারন জনগন চলাচল করতে পারে সেজন্য দ্রুত সংস্কার করা হবে।