মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার। বুধবার সকালে কালকিনি প্রেসক্লাবে নিহত এসকেনদার খাঁ’র ছেলে কিরণ খাঁ লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য দেন।
নিহত এসকেনদার কালকিনির লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য ও মাদারীপুর-০৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থক। সে কালিকিনির ভাটোবালী গ্রামের হোসেন খাঁ’র ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে কিরণ খাঁ অভিযোগ করেন, গত শনিবার ভোরে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন এসকেনদারসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় মাদারীপুর-০৩ আসনের নৌকা প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়ার সমর্থক ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারীর নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় এসকেনদারকে এলোপাতারি কুপিয়ে আহত করে। পায়ের রক কর্তণও করা হয়। বাঁধা দিলে আরেকজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকে পাঠানো হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এসেকনদার খাঁ।
এই ঘটনায় নিহত এসকেনদার খাঁ’র ছেলে কিরণ খাঁ বাদী হয়ে কালকিনি থানায় ৩১ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মঙ্গলবার ভোরে গাজীপুর থেকে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বিল্লাল খাঁকে গ্রেফতার করে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে নিহতের পরিবারকে মামলার পরে আসামীদের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এ সময় নিহতের ছেলে আরো অভিযোগ করেন, আসামীদের মধ্যে নিজেরাই অপর একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে বাদীদের ফাঁসানোর পায়তারা চলছে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নিহত এসকেনদার খাঁ’র পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে আগামীতে যেন অন্য কোন ঘটনার জন্ম না নেয়, এজন্য সবাইকে সর্তকও করা হয়েছে। এসকেনদার হত্যাকান্ডে বাকি আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে।