গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সংরক্ষিত বনের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে দেদারসে মাটি ব্যবসা চলছে।
ঢাকা বন বিভাগের কালিয়াকৈর রেঞ্জের রঘুনাথপুর বিটের কাঁথাচোরা এলাকায় প্রকাশ্যে এ ঘটনা চললেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে জানা যায়, কাঁথাচোরা এলাকার বঙ্গবাজারের পশ্চিমে স্থানীয় মো. ছায়েদের কৃষি জমি। জমির উত্তর ও দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে গজারি বন। ছায়েদ সেখানে মাছের খামার করার উদ্দেশে অন্তত তিন বিঘা জমির মাটি বিক্রি করেন। মাটি কিনেছেন যুবলীগ নেতা রুবেল। তার সঙ্গে সোহেল ও হাসানসহ কয়েকজন সহযোগী হিসেবে আছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে। ডাম্প ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহনের জন্য আকাশমনি বাগানের ভেতর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। রাত হলেই ১০-১২টি ট্রাকযোগে মাটি নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির নিচু জমি ভরাট করা হয়।ইতিমধ্যে বনের কিছু অংশসহ প্রায় এক বিঘা জমির মাটি কাটা হয়েছে। খননের গভীরতায় ঝুঁকিতে পড়ছে বন। বিশেষ করে আসন্ন বর্ষাকালে সংলগ্ন বনভূমি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘেঁষে পুকুর বা খামার খননের কোন সুযোগ নেই। আর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি সংলগ্ন সরকারি ভূমি থাকলে করতে হয় ডিমারকেশন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রঘুনাথপুর বিট কর্মকর্তা শাহ জালাল চট্টগ্রামে একটি প্রশিক্ষণে আছেন। তার অনুপস্থিতিতে বিটের দায়িত্বে রয়েছেন বনপ্রহরী রফিকুল ইসলাম। ওই মাটি ব্যবসায়ীরা রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে বিট কর্মকর্তাকে মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ করে এই ক্ষতিযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা শাহ জালালের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি প্রশিক্ষণে থাকার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।