কালবৈশাখী ঝড়ে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শুরু হওয়া এই ঝড় প্রায় আধা ঘণ্টা সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় তাণ্ডব চালায়। স্থানীয়রা জানান, এ সময় ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে ধান, ভুট্টা, আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় একটি বাড়ি ভেঙে পড়ছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় একটি বাড়ি ভেঙে পড়ছে। এছাড়া ঝড়ের পর জেলার কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে বলেও জানান তারা। কালীগঞ্জের কাকিনা ইউনিয়নের ফরহাদ মিয়া বলেন, “বাড়ির পাশে গাছ পড়ে একটি টিনের ঘর ভেঙে গেছে। এছাড়া তামাকসহ বিভিন্ন ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।” একই ইউনিয়নের শরিফ ইসলাম বলেন, “কাকিনা চরের বাজারের কাছে একটি বড় বটগাছ উপড়ে পড়ে তিনটি টিনের ঘর ও বাজারের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” ঝড়ে অনেক এলাকায় সড়কের ওপর গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা গাছ সরিয়ে যান চলাচল সচল করেন। হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, “কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” সদর উপজেলার হারাটী এলাকার বাসিন্দা সেলিম বলেন, “ঝড়ের তীব্রতায় আমার দুইটি ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। আশপাশের অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে এবং দ্রুত সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।” লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার দৈনিক গণকন্ঠ বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।