ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও কুমিল্লার অংশে নেই যানজট। মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি টোল প্লাজা পর্যন্ত এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে কুমিল্লা অংশের ১০৩ কিলোমিটার এলাকার ১২টি যানজট প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব ও জেলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে সরেজমিন মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রামমুখী লেনে গাড়ির চাপ তুলনামূলক বেশি। তবে বড় যানবাহনের তুলনায় ছোট যানবাহনের সংখ্যা বেশি চলাচল করতে দেখা গেছে। যানজট প্রবণ এলাকা দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজার ও ইলিয়টগঞ্জ বাজার, চান্দিনার মাধাইয়া বাজার ও চান্দিনা বাজার (বাগুড় বাসস্ট্যান্ড), বুড়িচংয়ের নিমসার বাজার, কুমিল্লা সদরের ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট মোড় ও আলেখারচর, সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার, সুয়াগঞ্জ বাজার ও কোটবাড়ী ইউটার্ন এবং চৌদ্দগ্রাম বাজারে যানজটের দৃশ্য নেই।
এদিকে রাতে মহাসড়কে ডাকাতি, ছিনতাই এবং পশুবাহী পরিবহণে চাঁদাবাজি রোধে সতর্ক অবস্থানে রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশ দিন-রাত সমাতালে দায়িত্ব পালন করছে। ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ, স্বস্তিদায়ক ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিতে হাইওয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ কাজ করছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও শৃঙ্খলা রক্ষায় মহাসড়কে রয়েছেন। রোভার স্কাউট সদস্যরাও সড়ক নিরাপত্তা মনিটরিংয়ে অংশ নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোট ২৬টি স্পটকে গুরুত্ব দিয়ে এবারে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে যানজটের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে কুমিল্লা অংশের ১২টি স্পটকে আমরা চিহ্নিত করেছি। মহাসড়কের কোথাও যেন কোরবানির পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি অথবা রাতে মহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়ে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহাতেও নিরাপদ ও স্বস্তির যাত্রা নিশ্চিত করা।