কুষ্টিয়ায় এ বছর গমের ফলন ভালো হয়েছে। কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকরা। মেশিনে গম কাটাও মাড়ায়ের ফলে উৎপাদন খরচ কমেছে। তাহলে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালী হাসি। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট সহ নানা কারণে একসময় গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল কুষ্টিয়ার কৃষকরা।
তা এখন অতীত। সরকারি প্রণোদনায় কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিন দিয়ে অর্ধেক খরচে কম সময়ে গম কাটাও মাড়াই করতে পারায় গম চাষ বেড়েছে কুষ্টিয়ায়। এবছর জেলায় ১২হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে। মেশিনের প্রতি বিঘা জমির গম কাঁটা মাড়াইয়ের হুজুরের অর্ধেকের ও কম। ফলে কৃষকদের গম চাষের আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর গমের ফলন ভালো হয়েছে। বিজ্ঞান জমিতে গমের ফলন হচ্ছে ১৮ মন থেকে ২০ মন হারে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের আয় হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি। এখন গম কাটাও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চুয়ামলি-কপাড়াগ্রামের কৃষক রানা হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর গমের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে গড়ে ১৮ মন থেকে ২০ মন হারে।
কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিনে গম কাটাও মাড়াইয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমেছে। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। একই কথা জানিয়েছে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরপাড়ার গ্রামের কৃষক সোহেল মন্ডল। এদিকে সরকারি প্রাণোদনায় পাওয়া কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ১৫ বিঘা থেকে ২০ বিঘা জমির গম কাটাও মাড়াই করছেন কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিনের মালিকরা। এতে তাদের উপার্জন বেড়েছে। উন্নতজাত সরবারহ, এখন প্রদর্শনী ও প্রণোদনা প্রদান সংঘ সব ধরনের সুবিধা দেওয়ায় কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছে এবং এবছর গমের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশ হবে সমৃদ্ধ।