1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাগুরা চৌরঙ্গী মেড়ে অবস্থিত মাগুরা প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠান ২০২৪ লালমনিরহাটে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় চৌধুরী বলেন মানুষ সংস্কার বুঝে না, বুঝে শুধু উন্নয়ন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জুলাই-আগষ্টে গণঅভ্যুস্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়া যাত্রী ছাউনীর বেহাল অবস্থা তারেক রহমান ও শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের ও বৃহত্তর কর্মসূচির হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের ৬৫তম রুহিয়া আজাদ মেলা উদ্বোধন দৌলতপুরে চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু শেখ হাসিনা বাকশাল তৈরি করতে চেয়েছিলেন, ভেবেছিলেন গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল চলবে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হরিরামপুর ইউনিয়নে পন্থি ভূমি দস্যুকর্তৃক ৫ লক্ষ টাকার বাগানের গাছ কর্তনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কুষ্টিয়া ট্রাক নিয়ে ছুটে চলেছেন কামারুল , ইনু চায় বিজয়ের নিশ্চয়তা

উজ্জ্বল মাহমুদ
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়া ( ভেড়ামারা  -মিরপুর)আসনে অবশেষে নৌকা প্রতীক পেয়ে গেছেন হাসানুল হক ইনু। গত ৩ টার্ম তিনি তার নিজস্ব প্রতীক মশাল না নিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাবেন কিনা এ বিষয়ে সংশয় থাকলেও মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে তিনিই পেয়েছেন নৌকা। নৌকা প্রতীক পেলেও তিনি চান বিজয়ের নিশ্চয়তা। তার সামনে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন। নির্বাচন থেকে তাঁকে সরাতে না পারলে হাসানুল হক ইনু’র জন্য বিজয় ছিনিয়ে আনা অত্যান্ত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে প্রতীক পেয়েই ট্রাক নিয়ে ছুটে চলেছেন, সাম্রতিক সময়ে তুমুল জনপ্রিয় হওয়া কামারুল আরেফিন। ভেড়ামারা এবং মিরপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাঁর সাথে একাট্রা হয়ে নির্বাচনী লড়াই থাকায় বিজয়ের ব্যাপারে তিনি অনেকটাই নির্ভার।
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম কে বিপুল ভোটে হারিয়ে প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন হাসানুল হক ইনু। ওই নির্বাচনে ইনু পেয়েছিলেন ১লক্ষ ৬৫ হাজার ৯’শ ৫২ ভোট। আর শহীদুল ইসলাম পেয়েছিলো ১ লক্ষ ৭ হাজার ৫’শ ২৭ ভোট। জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তাঁর দলের প্রতীক মশাল। কিন্তু তিনি মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী এবং সর্বোচ্চ শক্তি ব্যাবহার করে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপরের ২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রর্তীক পেয়েছিলেন। যদি ওই ২টি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২য় মেয়াদে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করে সাড়া বাংলাদেশে সারা ফেলে দিয়েছিলেন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জামায়াত নির্বাচন বয়কট করায় আওয়ামী লীগ এবং সমমনা রাজনৈতিক দলের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল প্রতীক বরাদ্ধ শেষ হয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে। নির্বাচনে হাসানুল হক ইনু’র প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন। বিগত নির্বাচনে হাসানুল হক ইনু’র তিনিই ছিলেন প্রধান হাতিয়ার। মিরপুরে তাঁর রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি শাসন করেছেন মিরপুর উপজেলা। হাসানুল হক ইনু ১৫ বছর এমপি থাকাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী খুন, প্রত্যেক স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে প্রার্থী দিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়া সহ নানা কারণে আওয়ামী লীগের সাথে দুরুত্ব রয়েছে। যার কারণে এ নির্বাচনে ইনু বিরোধী একটি বলয় তৈরী হয়েছে আওয়ামী লীগের অভ্যান্তরে।
ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল আলম চুনু জানিয়েছেন, ভেড়ামারা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও চেয়ারম্যান দের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে, মিটিং করে আমাদের প্রার্থী হিসাবে কামারুল আরেফিন কে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছি। আমরা তার পক্ষেই নির্বাচন করবো এবং বিপুল ভোটে তাকে নির্বাচিত করবো। আমরা আর ভাড়াটিয়া কোন লোকের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভাড়াটিয়া কে নির্বাচিত করতে চায় না। ভোটে বিজয়ী হয়েই আমাদের দিকে প্রথম অস্ত্র ব্যবহার করবে এমন জাতীয় নেতার সাথে আমরা নেই।
ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ভেড়ামারা পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা বলেছেন, মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। তার সম্মানেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থী দেয়নি। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাঁর। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে, ১৫ বছরের জুলুমের অবসান ঘটানোর জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ একাট্রা হয়েই কামারুল আরেফিন কে সমর্থন দিয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকই বিজয় মালা পড়বে, এটা প্রায় নিশ্চিত।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুল আলীম স্বপন বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির স্বার্থে মহাজোটের ঐক্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। ২০০৮ সাল থেকেই জোটগত নির্বাচন করছে আওয়ামীলীগ-জাসদ সহ অনান্য দল গুলো। কৌশলগত কারনেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র বা ড্যামি প্রার্থীরা রয়েছে। নির্বাচন হবে উৎসবমুখর। নৌকার প্রার্থী হাসানুল হক ইনু জনবিচ্ছন্ন নেতা নন। তিনি সৃষ্টিশীল এবং উন্নয়নকামী একজন রাজনৈতিক। জনগনের সাথে তার রয়েছে নীবিড় সর্ম্পক। আগামী ৭ জানুয়ারী নৌকার প্রার্থী হিসাবেই হাসানুল হক ইনু বিজয় মালা পড়বে। তিনি বলেন, মহাজোটের নেতৃত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগ আর অন্যতম শরীক দল জাসদ। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীই নৌকা প্রতীক দিয়েছে হাসানুল হক ইনু। আমার বিশ্বাস, নৌকার জন্যই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পূর্বের ন্যায় হাসানুল হক ইনুর প্রতিই আস্থা রাখবে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com