1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়া শিবগঞ্জ মোকামতলায় ৮ কেজি গাজাঁসহ ২ গাজাঁ ব্যবসায়ী গ্রেফতার গাজীপুরের কা‌শিমপুরে দুর্গা পূজার প্রতীমা ভাংচু‌র করল দুর্বৃত্তরা কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যে সীমান্তে প্রাণ গেছে ফেলানীর সেই সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর চাকরি পেলেন তার ছোটভাই প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজ ছাত্র অপহরণের ঘটনায় দুই আসামিকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর সুনামগঞ্জ পৌর শহরের উকিল পাড়া সড়কের বেহাল দশা চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধার ভূরুঙ্গামারীতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সহকারী শিক্ষক নিয়ামুল আরিফ গ্রেফতার নিয়ামতপুরে শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত দুমকীতে স্কুলপথে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

কুসংস্কারের বলি শিশু: লাখাইয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রকে দিয়ে কবিরাজি, প্রতারণার অভিযোগ

পরভাজ হাসান
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

লাখাই উপজেলার ৫নং করাব ইউনিয়নের আগাপুর গ্রামে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে দিয়ে তন্ত্র-মন্ত্র ও কবিরাজি চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা প্রতারণা। এই অবুঝ শিশুকে ব্যবহার করে তার বাবা গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগাপুর গ্রামের শৈলেন সরকার, যিনি একসময় জেলে হিসেবে কাজ করতেন, প্রায় এক বছর আগে তার ছেলে শ্রীদাম সরকারকে (১০) দিয়ে কবিরাজি ব্যবসা শুরু করেন। এই শিশু কবিরাজের নাম ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষ তার কাছে ভিড় জমাচ্ছেন।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে শৈলেন সরকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের সরু রাস্তায় রিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ির উঠানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবাই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে, যাদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি।

রোগীরা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শ্রীদাম সরকারকে ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করছেন। পানি ও তেলপড়া এবং ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে তিনি চিকিৎসা দিচ্ছেন। বাবার নির্দেশে শ্রীদাম বোতল ভর্তি পানি ও তেলের শিশিতে ফুঁক দিচ্ছেন এবং প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে ৩৭০/৫২০ টাকা করে ‘হাদিয়া’ নেওয়া হচ্ছে। গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের টাকা এবং ছাগল মানত করতে বলা হচ্ছে।

চিকিৎসা নিতে আসা ১৫-২০ জন রোগী জানান, তারা লোকমুখে রোগ ভালো হওয়ার কথা শুনে এসেছেন, তবে বেশিরভাগই কোনো উপকার পাননি। একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগী বলেন, “দুই দিন ধরে আসছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।”

তবে শ্রীদামের মা দাবি করেন, তার ছেলের ঝাড়ফুঁকে অনেক জটিল রোগেরও উন্নতি হয়েছে।

সচেতন মহলের মতে, এই কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ কুসংস্কার। তারা মনে করেন, শৈলেন সরকার তার চতুর্থ শ্রেণিপড়ুয়া ছেলেকে দিয়ে অন্যায় করছেন। এই চিকিৎসার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

এ ব্যাপারে শিশু শ্রীদাম জানায়, সে আগাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। সে স্কুলে যেতে চাইলেও তার বাবা তাকে বারণ করেন, কারণ রোগী আসবে। সাংবাদিকরা শৈলেন সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপ-এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com