তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে গোটা পৃথিবী যখন হাতের মুঠোয়, সে সময়ে কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সিমানায় অর্ধশত গ্রাম যেন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। ইন্টারনেট, মোবাইল ব্যাংকিং তোর দূরের কথা, মোবাইল ফোনে একটা কল করত ২ -৫ কিলোমিটার দূরে যাওয়া লাগে।
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্বে উত্তরের জনপদ , মরা নদী , চর বিষ্ণুপুর সালামের চর, দামাল গ্রাম, মন্ডলের হাট, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী দুই উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের চিত্র এমনই। গ্রামগুলোর প্রায় ২০ হাজার মানুষ মোবাইল ফোনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
স্থানীয় বাসিন্দারা হাফিজুর মোম্বার জানান ১৯ সালে সুবল পাড় বাজারে পশ্চিম জমিতে জিপি একটি টাওয়ার স্থাপন করে। কিন্তু ২০ সালে পর থেকে সমস্যা লেগেই থাকে টাওয়ারের পাশে নেটওয়ার্ক পায়না । এর পর থেকেই দুই উপজেলার অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দারা মোবাইল ফোনসংশ্লিষ্ট সব ধরনের প্রযুক্তিসেবা থেকে বঞ্চিত। ঘরে বসে ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট ঘাঁটা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজ লেনদেন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ফেসবুক-ইউটিউবে – এসব যেন গ্রামবাসীর কাছে স্বপ্ন। নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিক্ষা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যেও।
সবদের বাজারে এলাকার বাসিন্দা চায়ের দোকানী আজিবর ইসলাম জানান, এই বাজারে কোন নেটওয়ার্ক পাওয়া জায় না । অন্য অনেক কাজও হতো। এখন একটা ফোন করতে হলেও ২/-৫ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। দূরে আমাদের আত্মীয়স্বজন কেউ মারা গেলেও আমরা ঠিক সময় খবর পাই না। মনছুর আলী নামের আরেক বাসিন্দা আক্ষেপ করে বলেন, একটা ফোন করার জন্যও অনেক দূরে যেতে হয়। প্রযুক্তির এই যুগে এটা কি কল্পনা করা যায়?
টেলিটক নেটওয়ার্ক স্থাপনের দাবিতে স্থানীয়দের এ সময় মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষরসহ নানা কর্মসূচি পালন এর উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম কেয়ারে যোগাযোগ করেও কোন ফল পাওয়া যায় নি , উল্লেখিত স্থানে একটি টেলিটক বিটিএস সাইট কোর্ট পাশ হয়েছে, গুরুত্বের সঙ্গে দ্রুত সাইটটি নির্মাণ চায় এই এলাকার মানুষ। রাষ্ট্রীয় টেলিটক বঞ্চিত মানুষকে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখা রাস্তা তৈরি করে দিবে। ইতোমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি ও একটি গণ স্বাক্ষর পরিপত্র প্রেরণ করা হয়েছে ।