কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কের নির্মাণ কাজ দায়সারা ভাবে সম্পন্ন করার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। উপজেলা শাহ বাজার হতে নওদাবশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী ২ দশমিক ১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। সড়কটি নির্মাণের সপ্তাহ পার হতে না হতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং। উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে,অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতী) প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলার শাহ বাজার হতে নওদাবশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কের নির্মাণ করা হয়। সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার ও IFAD (International fund for agriculture development). সড়ক নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে কুড়িগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খাইরুল এন্টার প্রাইজ। শুধু অভিযোগই নয় ক্ষুব্ধ জনতা হাত পায়ের আঙ্গুলের খোঁচায় সড়কের কার্পেটিং তুলে দেখিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এলাকাবাসীরা জানান,সড়কটি দিয়ে আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কাঁচা সড়ক দিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ ছিল নিত্যসঙ্গী। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। অবশেষে সড়কটি পাকা করণের কাজ শুরু হলে সবাই খুশি হয়েছিল। কিন্তু দায়সারা ভাবে সড়ক নির্মাণ করায় তাদের খুশি ম্লান হয়েছে। সড়ক নির্মাণের সপ্তাহ না যেতেই বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে যায়। দায়সারা কাজের প্রমাণ ধামাচাপা দিতে আবার বালু ফেলে ঢেকে দেয়া হয়েছে। সড়কটি এ অবস্থায় থাকলে অল্পদিনের মধ্যে সড়কের অবস্থা বেহাল হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সড়কটি পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কুড়িগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খাইরুল এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী সানাউল কবির লেলিনের মুঠোফোনে একাধিকার ফোন দিলেও তিনি ফোনটা রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, সড়কটির যে যে অংশে কার্পেটিং উঠে গেছে তা ইতিমধ্যে মেরামত করা হয়েছে।গোটা সড়কের নির্মাণ কাজ ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে পরবর্তীতে যদি সড়কের আরো কোন ত্রুটি দেখা দেয় সেটিও সমাধান করা হবে। ঠিকাদার সড়ক নির্মাণে দায়সারা কাজ করে পার পেয়ে যাবেন,এমন সুযোগ দেওয়া হবে না।