জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “কোনো স্বৈরাচার বা ফেরাউন ক্ষমতার মসনদে চিরকাল থাকতে পারে না।” ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের উদাহরণ টেনে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (জুলাই ২) কুড়িগ্রামের ঘোষপাড়াস্থ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ফলকের সামনে এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র দ্বিতীয় দিনের পথসভায় তিনি এই বক্তব্য রাখেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনায় কোনো টালবাহানা আমরা মানব না। কুড়িগ্রামকে উন্নয়নে পিছিয়ে রাখা চলবে না।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কুড়িগ্রামের প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন না হলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়।”
দুপুর সাড়ে ১২টায় রংপুর থেকে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রবেশ করে এনসিপির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে ত্রিমোহনী বাজার হয়ে ঘোষপাড়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ফলকে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক কৌলাশ চন্দ্র রবিদাস, ড. আতিক মুজাহিদ, ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও মাফিয়াতন্ত্র ও দখলদারিত্ব রয়ে গেছে। এ অবস্থা পরিবর্তনে জাতীয় নাগরিক পার্টিই একমাত্র বিকল্প।” তিনি পটিয়ায় এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা করে হুঁশিয়ারি দেন, “আমাদের ছাত্রদের ওপর হামলার ফল ভালো হবে না।”
৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘বাংলাদেশ পুনর্গঠনের ইশতেহার’ ঘোষণা করা হবে বলে জানান নাহিদ। এদিনের সমাবেশে তিনি কুড়িগ্রাম-২ আসনে ড. আতিক মুজাহিদের প্রার্থীতার সমর্থনও চান।
কুড়িগ্রামের পর নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলায় পথসভা শেষে লালমনিরহাটের দিকে যাত্রা করবেন এনসিপি নেতাকর্মীরা। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই পদযাত্রায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।