তিস্তা পাড়ের মানুষের গণশুনানির মাধ্যমে সমস্যা গুলো সমাধানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আমি ঢাকায় থেকে দুই মাসের চেষ্টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বরাদ্দ পেয়েছি।সেই সময়ে বাজেট প্রণয়নের কাজ ছিলনা,
আপনাদের সমস্যার কথা গুলো বলার পরে পুরো কাজটার জন্য বরাদ্দ পেয়েছি।
তিনি বলেন,
আজকে যদি বাঁধের কাজটা না করতাম হয়ত বিদ্যালয়টি ও আরও অনেক ঘরবাড়ী, গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা , নদীতেই ভেঙে যেতো,এটা মানুষকে জানাতে হবে,সাহস লাগবে সরকারের কাছে রাখা দাবিটি যেন বাস্তবায়ন হয়।এজন্য আমি নিজেই কাজটি দেখতে এসেছি, দ্বিতীয় হচ্ছে স্থানীয় জনগণ নদীর স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান।যদি স্থায়ী সমাধান কাজ করতে যান তাহলে লাগবে ৩ থেকে ৫ বছর। আপাতত বিপদ কাটার জন্য এই কাজ টুকু করতেছি এবং সেখানে প্রত্যেকটি কাজে স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করেছি, যে কোন অনিয়মের অভিযোগ উঠতেই পারে, সেগুলো যেন স্থানীয় মানুষ নিষ্পত্তি করতে পারে এবং কাজগুলো যেন ভালোভাবে হয়।দুটি জায়গায় গিয়েছি তারা বলছেন কাজগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে। এবার হল তিস্তা মহাপরিকল্পনা, তিস্তা নদীর গতি প্রকৃতি অনেকটাই আমাদের হাতে নির্ভর করেনা,নির্ভর করে উজানের দেশে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন,সরকারিভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার জন্য চুক্তির ব্যপারে কাজ করা হয়েছিল ২০১১ সালে,সেই স্বাক্ষর করানো যায়নি সেটা আপনারা জানেন,তবে সেই প্রক্রিয়া এখনো চলমান আছে।পাশাপাশি তিস্তা যেহেতু আমাদের নদী সেহেতু ভাটির দেশের জনগনের অধিকার আছে।সেটি সুরক্ষিত করতে পারি সে জন্য ২০১৬ সালে চীন সরকার সঙ্গে একটা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল।আমরা সে সময়ে মহা-পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছিলাম,আমরা সেই পরিকল্পনা নিয়ে চীন সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন,
তিস্তা পাড়ে পাঁচটি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে,এটা যেন সরকারি পরিকল্পনা না হয়,এটা যেন জন পরিকল্পনা হয়।বাস্তবায়নের জন্য যে সংস্থাটি কাজ করবে,তারা একটা ডিজাইন দিবে।ডিজাইন পেতে অক্টোবর এসে যাবে। তারপর জানা যাবে কি পরিমাণ অর্থ লাগবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে।আজ-১৫/০৭/২০২৫ ইং মঙ্গলবার বেলা ১২ঃ০০ টায় খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙন প্রতিরোধ ও তীর রক্ষা কাজ
পরিদর্শনকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন,
উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রধান প্রকৌশলী মো: মাহবুবর রহমান,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা,কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার(এসপি)মো:মাহফুজুর রহমান,জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ড.আতিক মুজাহিদ,কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান,রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান,উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)মো: আশাদুল হক।
উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ছিলেন
একান্ত সচিব আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান,পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশ্বেরুল ইসলাম,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার দীপংকর বর।স্থানীয় পরিবেশকর্মী গণ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।