নাটোর জেলা সিংড়া উপজেলার ছোট্ট একটি বিল।বিলটি হাজির বিল নামে খুবই পরিচিত।ছোট হওয়া সত্বেও বিলটিতে বছরে দুটি ফসল ফলতে দেখা যায়। বিলে চতুর ধারের কৃষকেরা ফসল ফলিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। হাজারো কৃষকের জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য বিলটি গুরুত্ব সর্বাধিক। কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে তারও গুরুত্ব কমে যাচ্ছে।
এক সময় যেখানে চাষাবাদ করে হাজারো কৃষকের মুখে হাসি দেখা যেত। এখন সেই হাসিটাই হাসতে ভুলে গেছে কৃষকেরা। একটু বৃষ্টির পানিতেই ভরে যায় বিলটি। টানা তিনদিনের বৃষ্টির ফলে, অধিকাংশ কৃষকের জমির ফসল ডুবে গেছে। ডুবে গেছে কৃষকের স্বপ্ন ও হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম।
ফসলের বীজ বপনের পর থেকেই কৃষকের মুখে বিপর্যয় লক্ষ্য করা যায়। এই যেন বৃষ্টির পানিতেই সবকিছু ডুবে শেষ।তবে এর আগে তেমন কোন খারাপ পরিস্থিতি ছিল না। সময়মতো বিলে পানি আসত এবং সময় মতোই তা নেমে যেত। এতে কৃষকেরা যথাসময়ে ফসল ফলিয়ে ঘরে তুলতে পারতো। তবে এখন তার উল্টো কিছুই লক্ষ্য করা যায়।
উপরের দৃশ্যপট দুটি লক্ষ্য করলে দেখা যায় বিলটিতে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে। যার ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে আছে। এতে একটু বৃষ্টির পানির ফলেই নেমে আসে বন্যা। যার ফলে কৃষকেরা সঠিক সময়ে ফসল ফলাতে পারছে না। এতে বিপর্যয় নেমে আসছে কৃষকদের জীবনে। তাদের পরিশ্রম যেন বৃষ্টির পানির নিচে তলিয়ে শেষ।
যদি সুপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা হয়। তাহলে বছরের পর বছর সঠিকভাবে কৃষকেরা ফসল ফলাতে পারবে না।এতে নেমে আসবে কৃষকদের জীবনে বিপর্যয়। তার ধাক্কা গিয়ে লাগবে কৃষকদের জীবিকা নির্বাহে এবং অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।