খুলনার কয়রা উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত “প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)” প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হলো পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস। রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই কংগ্রেস কৃষি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং পুষ্টি ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নিসাত ইসলামের সুদক্ষ পরিচালনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি খুলনার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে পার্টনার প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিশদভাবে তুলে ধরেন এবং কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জনে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ তৌহিদীন ভুইয়া। তিনি কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ফসল সংরক্ষণের উপর জোর দেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার স্বাগত বক্তব্যে পার্টনার প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ মামুনার রশিদ, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শরিফুল আলম, খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান, জামায়াতের কয়রা সদর ইউনিয়নের আমির মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ গোলাম নবী, ইউপি সদস্য আবু হাসান, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ ফারুক হোসেন, গুরুদাস মন্ডল, অনুতব সরকার, সাধন ঢালী, মাহমুদুল হাসান, নাইমুর রহমান, আল মাহফুজ, সমাজসেবক গাজী সিরাজুল ইসলাম, আবুল বাশার ডাবলু, এবং স্থানীয় কৃষক বিলকিস আক্তার, লাবনী খাতুন, জর্তিময় সরকার, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
এই কংগ্রেসে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক কৃষক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা পার্টনার প্রকল্পের কার্যক্রম এবং কৃষিক্ষেত্রে এর ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে অবগত হন। এই ধরনের আয়োজন কৃষকদের জন্য নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্বার উন্মোচন করবে এবং বাংলাদেশের কৃষি খাতে টেকসই উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।