নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় আন্তর্জাতিক নারী পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক চীনা নাগরিকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (ভোর সাড়ে ৪টার দিকে) কেন্দুয়া পৌরসভার কমলপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—চীনা নাগরিক লি উইহাও এবং তার স্থানীয় সহযোগী মো. ফরিদুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, কমলপুর গ্রামের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত ছিলেন। সেখানে স্থানীয় দালাল ফরিদুল ইসলামের প্রলোভনে তরুণীর সঙ্গে চীনা নাগরিক লি উইহাওয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর ওই তরুণীকে চীন নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয় এবং ইতিমধ্যে তার নামে পাসপোর্টও তৈরি করা হয়েছিল।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, বিয়ের মাধ্যমে নারীদের বিদেশে পাচারের বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ মেলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তারা কেন্দুয়া থানা হেফাজতে রয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং পরবর্তীতে আরও তথ্য জানানো হবে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ২০০০ সালের জাতিসংঘের Palermo Protocol to Prevent, Suppress and Punish Trafficking in Persons, Especially Women and Children-এর স্বাক্ষরকারী দেশ।
এ কারণে আন্তর্জাতিক মানব পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। মানব পাচার শুধু নৈতিকভাবে জঘন্য নয়, বরং বাংলাদেশি আইনে একটি গুরুতর অপরাধ। এ অপরাধে জড়িত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে।