জামালপুর সদর উপজেলার ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নের কেন্দুয়া কালিবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিগত দিনে স্বৈরা শাসক খুনী হাসিনার দুসর। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সদর উপজেলা তাতী লীগের আহবায়ক পদে থাকায় ভয়ংকর দাপট দেখিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষদের কে জিন্মী করে রেখেছিল। শুধু তাই নয় কেন্দুয়া ইউনিয়নের নিরীহ লোকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়,জমি দখল এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথেও জড়িত ছিল। এমনকি ওই ইউনিয়নে গ্রাম্য শালিস-বৈঠক সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার একা আধিপত্য বিস্তার ছিল এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের নামে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় কোটি টাকা। এই খালেদুজ্জামান প্রদীপ ওই ইউনিয়নে বিগত দিনে বিএনপি সহ সাধারণ মানুষদের নামে বে-নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিল। এমনকি তার নেতৃত্বে বিগত দিনে বিএনপি পরিবারের বাড়ী-ঘর ও দোকান ভাংচুর সহ লুটপাট করা হয়েছিল। এই আ’লীগ নেতা খালেদুজ্জামান প্রদীপ এতই প্রভাবশালী যে, সে নানাবিধ অন্যায় ও অপকর্ম কাজ করলেও তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। তার ছিল পালিত ক্যাডার বাহিনী। তাদের দিয়ে সাধারণ লোকদের ওপর হামলা-মামলা সহ নির্যাতন চালানো হতো। ২০১৮,২০২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছে। ওই আ’লীগ নেতা খালেদুজ্জামান প্রদীপ বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের গভনিং বডির সভাপতি থাকাকালীন সময়ে ওই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে শিক্ষক নিয়োগের নামে ও বিদ্যালয়ের ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া কেন্দুয়া বাজারের উন্নয়নমূল ফান্ডের টাকাও আত্মসাৎ। খোজ নিয়ে জানাগেছে,তিনি আওয়ামী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জিরো থেকে তিনি এখন হিরো হয়েছেন। তিনি জামালপুর শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে জমি ক্রয় সহ বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে তার একাধিক অ্যাকাউন্ট। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হোক। তার বিরুদ্ধে আরও তথ্যের অনুসন্ধান চলছে।