আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে দেশজুড়ে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে কেনাবেচা। এরই মধ্যে বিভিন্ন হাটে দেশি-বিদেশি জাতের গরু ও ছাগল তোলা শুরু হয়েছে। তবে দাম নিয়ে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার অন্যতম পশুর হাট ফকিরহাটে কাজী আজহার আলী কলেজ মাঠ গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই গরু-ছাগল নিয়ে বিক্রেতাদের ভিড়, সঙ্গে বাড়ছে ক্রেতারাও। হাটে দেশি জাতের মাঝারি ও বড় সাইজের গরু ছাড়াও কিছু উন্নত জাতের গরু যেমন শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, সিন্ধি জাতের গরু পাওয়া যাচ্ছে। ছাগলের মধ্যে ব্ল্যাক বেঙ্গল ও জামুনাপাড়ি জাতের চাহিদা বেশি।

দাম কিছুটা চড়া, তবে বিক্রিও হচ্ছে
ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, এ বছর গরু-ছাগলের দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। ৩ থেকে ৪ মণ ওজনের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। মাঝারি আকারের ছাগলের দাম ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ও গরু পালনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর পশুর দাম একটু বেশি।

নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা
হাটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পশু ডাক্তার, ওজন পরিমাপক এবং স্বাস্থ্যপরীক্ষার বুথও রয়েছে।

বিক্রেতার ভাষ্য
বাগেরহাট থেকে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন,
“চার মাস ধরে গরু লালন-পালন করে হাটে এনেছি। এবার খরচ অনেক বেড়েছে। তাই একটু ভালো দাম না পেলে ক্ষতি হয়ে যাবে। তবে হাটের পরিবেশ ভালো, বিক্রি শুরু হয়েছে। আশা করছি ঈদের ২-১ দিন আগে চাহিদা আরও বাড়বে।”

ক্রেতার অভিজ্ঞতা
হাটে গরু দেখতে আসা ক্রেতা আবদুর রহিম বলেন,
“গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি। তবে দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় অনেকেই কিনে নিচ্ছেন। দরদাম করতে পারলে ভালো গরু মিলছে।”
স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হাটে পশুর ট্রান্সপোর্ট, পানি, ও ওষুধের ব্যবস্থা থাকায় হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।