খুলনা জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা কয়রা, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করে টিকে আছে। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন সংলগ্ন এই উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা এবং আম্ফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে। দুর্বল ও জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষেত, গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এমন পরিস্থিতিতে কয়রার জনমানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একমাত্র টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ অপরিহার্য।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ গত রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে ৬নং কয়রা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “কয়রার মানুষের জীবন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পুরনো ও দুর্বল বেড়িবাঁধগুলো প্রায়শই ভেঙে যায়, যার ফলে আমাদের ভাই-বোনেরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। তাদের ঘরবাড়ি, জমিজমা, ফসল এবং গবাদিপশু সবই ভেসে যায়। এই বিপর্যয় থেকে কয়রাবাসীকে রক্ষা করতে হলে টেকসই বেড়িবাঁধের কোনো বিকল্প নেই।”
কয়রা সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ রজব আলী মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোল্যা শাহাবুদ্দীন শিহাব, কয়রা সদর ইউনিয়নের জামায়াতের আমীর মো. মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা সুজাউদ্দীন আহমেদ, কয়রা সদর ইউনিয়ন সেক্রেটারি প্রভাষক মো. নুরুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারি মাও: মোস্তাকিম বিল্লাহ, যুব বিভাগের উপজেলা সেক্রেটারি মোনায়েম বিল্লাহ, ইউনিয়ন সভাপতি ডি এম জাহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার, সাবেক ইউপি সদস্য নাজমুস সাদাত, শিক্ষক সুজিত কুমার সরকার, নিরাঞ্জন মন্ডল এবং তারাপদ মুন্ডা।
বক্তারা সকলেই উপকূলীয় এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জরুরি প্রয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ বিষয়ে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেন।