খুলনার কয়রা উপজেলার জোড়শিং গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সৃষ্ট মারামারির ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ এনে আজ (২৩ জুলাই) বুধবার বেলা ১১টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ আরিফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরিফুল ইসলাম জানান, গত ২১ জুলাই সকালে তাদের চাচাতো ভাই আজিজুল ইসলামের জমি জোরপূর্বক দখল করতে আসে একই এলাকার গোলাম রব্বানী ও তার সহযোগীরা। তারা বাধা দিতে গেলে গোলাম রব্বানী গং স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া ও তার ভাইদের খবর দেন। ইউপি সদস্যসহ তার লোকজন ঘটনাস্থলে এসে কোনো কিছু না শুনেই তাদের ওপর হামলা চালায়।
আরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তাদের অতর্কিত হামলায় তার বাবা আছের আলী এবং ভাই জাহিদ গাজী গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে জাহিদ গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরিফুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে তাদের হয়রানি করছে। এমনকি তারা মিথ্যা মামলা দায়ের করে নিজেদের আহত হিসেবে উপস্থাপন করার নাটক সাজিয়েছে। তিনি দাবি করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও প্রতিপক্ষরা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিল এবং এখনও একই ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আরিফুল ইসলাম প্রশাসনের কাছে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।