খুলনার কয়রা উপজেলায় বেড়িবাঁধের সুরক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে বেড়িবাঁধে অবৈধভাবে স্থাপিত অসংখ্য পাইপ অপসারণ করেছে। বুধবার (৪ জুন) সকালে উপজেলার ১৩-১৪/২ পোল্ডারের উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের হাজতখালি থেকে কাঠমারচর এলাকা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অভিযান চলাকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রশাসনের প্রতিনিধি, পুলিশ, নৌবাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একশ্রেণির ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বেড়িবাঁধ কেটে অথবা ফুটো করে পাইপ বসিয়ে অবৈধভাবে নদীর লবণাক্ত পানি চিংড়ি ঘেরে প্রবেশ করাচ্ছিল। এই বেআইনি কর্মকাণ্ডের ফলে বেড়িবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছিল এবং ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছিল, যা এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সুলতান মাহমুদ এই প্রসঙ্গে বলেন, “এসব বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ স্থাপনের কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে। আমরা অবৈধ সংযোগকারীদের একটি তালিকা তৈরি করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, বাঁধের নিরাপত্তা রক্ষায় আরও কঠোর নজরদারি এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এই অভিযান কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অবৈধভাবে পাইপ স্থাপন বেড়িবাঁধের কাঠামোগত ক্ষতি করে এবং বর্ষা মৌসুমে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ভাঙনের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে। কর্তৃপক্ষের এই কঠোর অবস্থান বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব রক্ষায় এবং জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বেড়িবাঁধের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছে।