নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শালবাড়ী গ্রামের পশ্চিম প্বার্শে এক একরের চেয়ে বেশী খাস সম্পতি যা গ্রামের মানুষ সহ আশেপাশের গ্রামের মানুষ মাঠের শস্যাদি উঠা নেওয়া করতেন কিন্তু হটাৎ করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গ্রামবাসীর রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন এই সরকারী সম্পতি পত্তন করা হয়েছে।তার বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে জেলা প্রশাসক মহোদয়, নওগাঁ তে খোঁজ-খবর নিলে এ বক্তব্যের কোন ভিত্তি পাওয়া যায় নি। সরকারি খাস জমি ভুয়া পত্তন দেখিয়ে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যোগসাজশ করে এই অবৈধ কাজ পরিচালনা করছে, যার ফলে প্রকৃত ভূমিহীন ও অসহায় জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।যদি তা না হতো তাহলে গ্রাম বাসীর পক্ষে উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করার পরও কোন পরিদর্শনে কোন কর্মকর্তা সেখানে আসেননি।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, একটি সংঘবদ্ধ চক্র সরকারি খাস সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে এবং পরবর্তীতে সেটিকে ভুয়া দলিল তৈরি করে নিজেদের নামে পত্তন করিয়ে নেয়। এরপর এই সম্পত্তি তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে তারা মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।ক্রয়কৃত ব্যক্তি জনাব মোঃ ফেলু (শালবাড়ী) বলেন,আমি একজন গরিব ও অসহায় মানুষ আমার বসস্থানের জন্য একটু জায়গা চাইলে জনাব মোঃ আঃ মতিন (শালবাড়ী) আমার থেকে ১০৫০০০ (এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা মাত্র) টাকার বিনিময়ে আমাকে উক্ত স্থানে বাড়ি করার অনুমতি প্রদান করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রথমে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে নথিপত্র জাল করে খাস জমির মালিকানা নিজের নামে দেখিয়ে নেয়। পরে এটিকে বৈধ সম্পত্তি হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে। ফলে প্রকৃত ভূমিহীন ব্যক্তিরা আইনি জটিলতায় পড়ে এবং জমির অধিকার হারায়।আমরা গ্রাম বাসী বহু বছর ধরে এই খাস জমির রাস্তা ব্যবহার করছি। কিন্তু হঠাৎ দেখি, আমাদের জায়গা অন্য কারও নামে হয়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও ভূমি অফিসকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।
ভূমি আইনের ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও ভূমি সংস্কার আইনে বলা হয়েছে, সরকারি খাস সম্পত্তি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দখল বা বিক্রি করতে পারে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভূমিহীনদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।
ভূমি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া পত্তন ও অবৈধ দখল প্রতিরোধে কঠোর মনিটরিং, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।স্থানীয় বাসিন্দারা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন,দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।ভুয়া দলিল বাতিল করে গ্রাম বাসীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা হোক।প্রশাসনিক মনিটরিং আরও জোরদার করা হোক।এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সরকার, প্রশাসন এবং জনসাধারণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, নাহলে দুর্নীতির এই চক্র বারবার জনগণের সম্পদ লুটপাট করবে।