খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা ও মানহানিকর অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শরিফুল আলমকে তথ্য প্রতিবেদক হিসেবে সম্পৃক্ত করায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে কয়রা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন, যার নম্বর ৫২০।
জিডিতে মো. শরিফুল আলম উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি ‘প্রতিদিনের খবর’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলামকে জড়িয়ে একটি কুচক্রী মহল রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে তাঁর সামাজিক ও পারিবারিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। উক্ত অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ভবিষ্যতে জিডিতে অন্তর্ভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করছেন।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের নিন্দা ও আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি
এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন নেতা মোমরেজুল ইসলামের বিরোধী কণ্ঠ দমন করতেই এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাঁরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
‘পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ’ মোমরেজুল: সাংবাদিক শরিফুল আলমের প্রতিক্রিয়া
কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুল আলম বলেন, “অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তাঁর নামে এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। আমাকে প্রতিবেদক বানিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। সেই কারণে ভবিষ্যতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় জিডি করেছি।”
তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ
এ ব্যাপারে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি এম ইমদাদুল বলেন, “বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” এই ঘটনায় খুলনা রাজনৈতিক মহলে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।