নগরীর দৌলতপুর থানার সাবেক যুবদলের সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মোলকা হত্যা মামলায় গ্রেফতার সজলকে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার সাতদিনের আবেদন করে সজলকে আদালতে প্রেরণ করলে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফরিদুজ্জামান রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এরআগে, শনিবার গভীর রাতে সজলকে দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের সূত্র ও স্থানায়রা জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা করিম মোলকার ছেলে থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নিজ বাড়ির সামনে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার পরিস্কার করছিলেন। এ সময়ে সহযোগী হিসেবে ভ্যান চালক মোঃ সোলায়মান ছিল। একটি মোটরসাইকেলে করে তিনজন যুবক বারবার ওই রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করছিল। বিষয়টি গ্রাহ্য না করে গাড়ি পরিস্কারের কাজে ব্যস্ত ছিল মাহবুব। সময়টি শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় হওয়া তখন রাস্তায় কেউ ছিল না। এ সুযোগে ওই গাড়িতে থাকা তিন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। দু’টি গুলি তার মাথায় এবং মুখে লাগে। এসময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তারা মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাহবুবের দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে ঘাতকরা তেলিগাতি রাস্তা দিয়ে হাইওয়ে রোডে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যায়।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, কিলিং মিশনে তার অংশগ্রহণ ছিল না। কিন্তু মাহাবুবের অবস্থান সম্পর্কে খুনিদের যাবতীয় তথ্য দিয়েছে সজল। তার তথ্যের ওপর নির্ভর করে দুর্বৃত্তরা মাহবুবকে নির্মমভাবে গুলি পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে সজল অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে উপ- কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, এ হত্যাকান্ডে সজল সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। আমরা এ তথ্য নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করেছি। তাকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবো এবং মূল খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।