1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে রংপুর ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিবাদ বগুড়ায় ধর্ষণ মামলার ১নং আসামী গ্রেফতার করেছে বগুড়া র‌্যাব-১২ সাংবাদিকদের সাথে পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপারের ঈদোত্তর মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত ট্রাক, ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপা শ্রমিক ইউনিয়নের মতবিনিময় ঠাকুরগাঁও জেলায় সভা ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে বরিশাল মহানগর বি এন পির প্রতিবাদ ও সংহতি সোনার বাংলা -লেখকঃ বাবুল আকতার কয়রায় পল্লী চিকিৎসক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলা ও নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামে ছাত্রশিবিরের গণ আন্দোলন ঈদগাঁওতে থানা থেকে লুন্ঠিত অস্ত্র মিলল ব্রীজের নীচে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

গজনী অবকাশ কেন্দ্রের মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান ১৭ বন্যপ্রাণী জব্দ

রেজাউল করিম
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ কেন্দ্রের মিনি চিড়িয়াখানা থেকে ১৭টি বন্যপ্রাণী জব্দ করেছে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে বনবিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ইন্সপেক্টর নারগিস সুলতানার নেতৃত্বে একটি দল ওই মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান চালিয়ে এসব প্রাণী জব্দ করে। জব্দ করা ৭ প্রজাতির ১৭টি প্রাণীর মধ্যে রয়েছে— ১টি অজগর, ৪টি বন বিড়াল, ১টি গন্ধ গুকুল, ১টি বাজ পাখি, ৫টি বানর, ১টি শিয়াল, ৪টি হরিণ। এর মধ্যে শিয়াল ও বানরগুলো রাতেই গারো পাহাড় বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। হরিণ ৪টি চিড়িয়াখানার ইজারাদারের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বাকি ১০টি প্রাণী বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে, পরে সেগুলোর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী বনে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শেরপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে গজনী অবকাশ কেন্দ্রের ভেতরে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য এ মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়। এটি পরিচালনা করছিলেন ইজারাদার ফরিদ আহমেদ। তবে তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর ৬ (১) ধারা লঙ্ঘন করে অনুমতি ছাড়া বন্যপ্রাণী আটকে রেখে তা দর্শনার্থীদের দেখিয়ে আসছিলেন। ইজারাদার ফরিদ আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে চিড়িয়াখানাটি পরিচালনা করে আসছিলাম। বন বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া বন্যপ্রাণী রাখা যাবে না। বুধবার বন কর্মকর্তারা প্রাণীদের তালিকা তৈরি করে। শুক্রবার রাতে লাইসেন্সবিহীন প্রাণীগুলো জব্দ করে। আমার কোনো আপত্তি নেই। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা জানান, বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, দখলে রাখা, প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই এখান থেকে ১৭টি বন্যপ্রাণী জব্দ করা হয়। জব্দ করা প্রাণীগুলো কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে রেখে স্বাভাবিক বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন— বন বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন— ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক তানভীর আহমেদ, শেরপুর জেলা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার আবদুল্লাহ আল আমিন, বারিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন মিয়া ও র‍্যাপিড রেসপন্স বিডির সদস্যরা।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com