০৬/০৫/২০২৫ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ভোকেশনাল বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় ২০২৫ এ অন্যের প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার সময় দুইজন ভূয়া পরীক্ষার্থী আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়।
আটককৃত ভূয়া পরীক্ষার্থী দুইজন হল মামুন শ্রীপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে, অপর আরেকজন হলেন জুনায়েদ আহাম্মেদ সাগর শ্রীপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লোহাগাছ এলাকার শামসুল আলমের ছেলে। উভয়ে মোঃ হাইউল ইসলাম শাহজাহান,রোল:২৩৫৫৬২ এবং রানা মোল্লা রোল:৭০৭৫৬৫ পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে প্রক্সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
উপরিউক্ত বিষয়ের আলোকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম বক্তব্যে বলেন উল্লেখিত দুইজন ভূয়া পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে নিজের ছবি স্কেন করে মূল পরীক্ষার্থীর ছবির স্থলে বসিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে,কক্ষ পরিদর্শকের তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কেন্দ্র সচিব, হল সুপার ও প্রধান হল প্রত্যবেক্ষক প্রবেশপত্র যাচাই-বাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদ করেন, দুইজন ভূয়া পরীক্ষার্থী নিজের ছবি প্রবেশপত্রে ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে বসিয়ে অন্যের পরীক্ষায় অংশগ্রহণে দায় স্বীকার করে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরও বলেন দুইজন ভূয়া পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রদানের ভিত্তিতে পরীক্ষা হতে বহিস্কার করে পরীক্ষা আইনের ১৯৮০সনের ৪২ধারা ৩উপধারা মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক / কেন্দ্র সচিব শাহানা পারভীন জানান, পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় পরীক্ষার্থীদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রধান হল প্রত্যবেক্ষক এর সহযোগিতায় আইডি কার্ড যাচাই করে দেখা যায়, তাদের সঙ্গে থাকা ছবির সঙ্গে আসল শিক্ষার্থীদের মিল নেই। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজের ছবি প্রবেশপত্রে স্কেন করে বসিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, আটক দুজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।