ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের রুকনাকান্দা গ্রামে অবৈধ ও নকল জুস কোম্পনীর মালিক মো. দুলাল উদ্দিনকে মঙ্গলবার (৪ মার্চ/২০২৫) গ্রেফতার করে বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি দল।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তত্ত্বাবধানে এ অভিযান পরিচালনা করেন গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুল হাসান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকার প্রমা, সেনাবাহিনীর গৌরীপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ ক্যাপ্টেন সাদমান। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বিএসটিআই ময়মনসিংহের ফিল্ড অফিসার প্রকৌশলী মাওন কুমার ধর আবীর ও পরিদর্শক প্রকৌশলী আবিদ হাসনাত।
বিএসটিআই এর প্রতিনিধি দল তাৎক্ষনিক প্রস্তুতকৃত জুসে বিষাক্ত ক্যামিকেল, রঙ, নকল বিএসটিআই এর লগো ব্যবহারের দায়ে কোম্পানীর মালিক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার উষাতরা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের পুত্র মো. দুলাল উদ্দিন গ্রেফতার করেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা সরকার প্রমা’র নেতৃত্বে তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে গ্রেফতারকৃত ভেজাল জুস কোম্পানীর মালিক মো. দুলাল মিয়াকে বিনাশ্রম ৩মাসের কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেন। আদালতের নির্দেশে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুল হাসান জানান, ভেজাল ও নকল জুস উৎপাদনের দায়ে মালিককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ছোট-বড় একশত ৬৮টি কার্টুন জুস জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও নিষিদ্ধ পলিথিন, ক্যামিকেল বিনষ্ট করা হয়েছে। ফ্যাক্টরিটি সিলগালা করে বিএসটিআই এর নিকট জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
এ দিকে এলাকাবাসী জানান, নকল জুস কোম্পানী এর আগেও দুলাল উদ্দিন করেছিলেন। একাধিকবার বন্ধ করার পরেও তিনি আবারও এ ব্যবসা শুরু করেন। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ অভিযান পরিচালনা করার পরেও সে বারবার একই ব্যবসায় ফিরে যান। এ প্রসঙ্গে মো. দুলাল উদ্দিন জানান, এর আগে ভোক্তা অধিকার অর্থদন্ড করেছিলো। কোম্পানী সিলগালাও করেছিলো। বিএসটিআই এর অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা করার শর্তে সিলগালা খুলে দেয়। এখন পর্যন্ত বিএসটিআই এর অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, এ জুসে আমের কোনো রস নেই। পুরোটা ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তবে আমের ফ্লেভার দেয়া আছে।