নীলফামারীর ডোমার উপজেলাসহ জেলায় ১০দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। দিনে এবং রাতে এ অঞ্চলে হালকা বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা ও মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। দিনে এবং রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়, ঝড় করে কুয়াশা পড়ছে। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষজন। ক্ষেত খামারে, মাঠে ঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না।গত ৮জানুয়ারি থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি নীলফামারীর আকাশে।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে বাতাসের গতি বেড়েছে। ফলে ঠান্ডা আরও বাড়ছে। মানুষ জনের পাশাপাশি পশু পাখিরাও জুবুথুবু হয়ে পড়েছে। উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সকাল ৯টায় জেলার সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয়ের পাদদেশে নীলফামারী জেলার অবস্থান হওয়ায় এমনিতেই ডোমার এবং ডিমলা এলাকায় শীতের দাপট বেশি থাকে।শীতের তীব্রতায় শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে। কাবু হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছেন তারা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কমবে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।এরই মধ্যে নীলফামারী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ছয়টি উপজেলায় ৪০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দের জন্য নতুন করে আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডোমার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় ৪হাজার এক শত কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন।