টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা চরাঞ্চলসহ উপজেলায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। দিনের বেশির ভাগ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের।
সন্ধ্যা হতেই কুয়াশার চাদরে ছেয়ে যায় উপজেলাসহ পুরো চরাঞ্চল। ঘন কুয়াশার কারণে নদী পথে চলাচল করতে পারছে না নৌকা। ফলে চরাঞ্চলের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। উপজেলাটি যমুনা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এখানে ঘন কুয়াশা ও শৈত প্রবাহ অনেক বেশি। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের প্রকোপ বেশি থাকায় এখানকার মানুষের জীবন জীবিকায় দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। তীব্র শীতের কারণে কাজের সন্ধানে যেতে পাড়ছে না খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। শীতের তীব্রতায় খড়-কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।
এখন পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার শীত বস্ত্র ও সহায়তা পায়নি শীতার্ত পরিবারগুলো। গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায়, দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষ। স্থানীয় জন প্রতিনিধি, প্রশাসন ও সরকারের কাছে শীত নিবারণের জন্য শীত বস্ত্র এবং সহযোগীতার দাবি জানিয়েছেন অসহায় পরিবারের লোকজন ।
এ বিষয়ে উপজেলার গাবসারা চরাঞ্চলের ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা বলেন, আমার ইউনিয়নটি চরাঞ্চল বেষ্টিত একটি ইউনিয়ন। এখানকার ৯০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রচন্ড শীত, ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে ফসলের যমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি শীতের কারণে কাজ করতে না পারায় কষ্টে দিনযাপন করছে অনেকে। উপজেলা প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র পেলে সেগুলো চরাঞ্চলের অসহায়, দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা. নার্গিস বেগম বলেন, আমাদের উপজেলাটি যমুনা চরাঞ্চল বেষ্টিত একটি উপজেলা। উপজেলায় যমুনা নদীর তীরবর্তী তিনটি ইউনিয়ন সহ গাবসারা ইউনিয়নটি সম্পূর্ণ যমুনা চরাঞ্চলে অবস্থিত। আর যমুনা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এথানে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। আমরা অল্পকিছু কম্বল পেয়েছিলাম সেগুলো ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।