দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাসেদুল ইসলাম রাসেদ (২০)নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাতে থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়েরের পর রাতভর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি উপজেলার বিন্নাগাড়ি এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। বাদীর বাড়িও একই এলাকায়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারী ছয় মাস পূর্বে তালাক প্রাপ্ত হয়ে বাবার বাসায় ফিরে আসেন।
ঘটনার ১০-১২ দিন পর্বে রমজানের মধ্যে ঈদের কেনাকাটা করতে উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজারে আসেন ওই নারী। সেখানে পরিচয় হয় রাসেদুলের সাথে। এরপর তখন থেকে তাদের মুঠোফোনে কথা বার্তা চলে। ঈদের একদিন আগে আবারো বাজারে দেখা হলে অভিযুক্ত রাসেদুল ওই নারীকে কিছু কসমেটিকস কিনে দেয়।
ঈদের পরের দিন মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে রানীগঞ্জ বাজারে মন্দিরের সামনে আসতে বললে তাঁর ডাকে সাড়া দেয় ওই নারী।
পরে তাকে বিয়ে করার কথা বলে পাশের থানার একটি পার্কে ঘুরতে নিয়ে যায়।
সেখানে পার্কে ঘুরাফেরা শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাত হলে রাশেদুল তাঁর খালাতো বোনের বাসায় গিয়ে উঠে এবং সেখানে তাকে ওই নারীকে স্ত্রী হিসাবে পরিচয় করে দেয়।
পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সেখানে তাকে রাতভর ধর্ষণ করে।
পরের দিন সকালে ওই নারীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেন। বাড়ি ফিরে ওই নারী তার মাকে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে। পরে ওই নারী রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর রাতভর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘোড়াঘাট থানার (ওসি) তদন্ত শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলার পর আসামি রাসেদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীকে আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দিনাজপুরে মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।