জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রলোভন দেখিয়ে চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে ছাঁদ থেকে ফেলে দেওয়ায় গুরুতর আহত হয়। ওই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস (৬০ কালাই উপজেলার আতাহার বামন গ্রামের জাকিরের ছেলে। আহত শিক্ষার্থীর বাবা মা ঢাকা গার্মেন্টসে চাকরি করে৷ বাচ্চাটি তার বৃদ্ধ দাদা দাদির কাছে থাকতেন বাচ্চাটি৷ নিজ গ্রাম বিনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে৷ ৯ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১১ টায় ক্ষেতলাল উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামের হাসান এর মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর ছদ্মনাম (শাবনুর) সাথে এঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সুত্রে জানা গেছে, আব্দুল কুদ্দুস (৫০) গত ১ বছর যাবৎ উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামে এসে কৃষি দিনমজুরের কাজ করতেন। ওই পাড়ায় একটি নির্মানাধীন বাড়ীতে ফাঁক পেয়ে গেটের সামনে বাচ্চাকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে রুমে নিয়ে গেলে প্রতিবেশী, আঃ গুনির স্ত্রী বাচ্চার মুখ চেপে ধরা দেখতে পেয়ে দৌড়ে গিয়ে আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনে,উৎসক জনতা দরজায় লাথি মারলে ধর্ষক শিক্ষার্থীকে দোতলার ছাদ থেকে ফেলে দেয়৷ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বাড়িটি ঘেরাও করে৷ অভিযুক্ত আঃ কুদ্দুস পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে, ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটক করে৷ এ ঘটনা ওই বাড়ির মালিক, প্রবাসী কাবিলের মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন৷ আমি প্রবাসে থাকি নিজ গ্রামে বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছি সেটি আমার স্ত্রী দেখভাল করে বাড়িটি এখনো পূর্ণ নির্মাণ করতে পারিনি, আজকে আমার স্ত্রীর মারফত জানতে পারলাম৷ আমাদের গ্রামে একজন দিনমজুর কাজ করে ওই লোকটি বাড়িটি ফাঁকা পেয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে অপরাধী যেই হোক আমি তার সর্বোচ্চ ফাঁসি চাই৷ ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বীরেন্দ্র সিং জানান৷ ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি আইনি প্রক্রিয়া চলমান৷