সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় পুকুর খননকারীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে যুবদল ও কৃষক দলের ৩ নেতাকে আটকে রেখে মারধর করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তাদের বাকিরা পালিয়ে যায়। ৩টি মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। তবে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের নইপাড়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আহতরা হলেন, সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন(৪০), সদস্য রোকনুজ্জামান খোকন (৩৮) ও সলঙ্গা থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব সোবহান আলী (৪২)।
ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, বেশকিছু বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ যুবদল ও কৃষকদলের এই তিন নেতাকে আটকে রেখে মারধর করছে।
স্থানীয় শহিদুল ইসলাম ও আরব আলী বলেন, শুক্রবার বিকেলে ৫ থেকে ৭টি মোটরসাইকেলে ৮-৯জন নইপাড়ায় এসে গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর খনন কাজ চলাকালে চাঁদা দাবি করেন। ওই সময় এলাকার বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষরা তাদের ৩জনকে আটকে রেখে গণপিটুনি দিয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাকিরা পালিয়ে যায়। উত্তেজিত লোকজন তাদের ৩/৪টি মটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।
তবে ধুবিল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম হাবু জানান, নৈইপাড়া গ্রামে আমাদের দলীয় ছেলেদেরকে পূর্বপরিকল্পিত ও অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। মূলত আমাদের দলের ছেলেরা আবাদি জমিতে পুকুর খননের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। প্রতিবাদ করার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।