চাঁদাবাজি বন্ধে পথে নামলেন অটোচালকরা: প্রশাসনকে স্মারকলিপি
শামীম আহমেদ
-
প্রকাশের সময় :
বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪
-
১৪৪
বার পড়া হয়েছে
কেন্দুয়া নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দূরপাল্লার বাসে, খেলার মাঠের পাশে সিএনজি স্ট্যান্ডে এবং অস্বচ্ছল অটোরিকশা বা রিকশা ড্রাইভারদের থেকে ধীর্ঘ সময় ধরে একটি চক্র জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল। প্রায় ৭ বছর চাঁদাবাজি নীরবে সহ্য করে আসলেও এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন চালকরা।
গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে অসীম কুমার উকিলকে হারিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই চাঁদাবাজ চক্রের অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চালকরা। তাদের অভিযোগ সাবেক এমপি অসীম উকিলের আস্থাভাজন কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র আসাদুল হক ভূইয়ার মদদেই এই চাঁদা উঠাতো তারই অনুগতরা। সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু নির্বাচনী সভাতেও প্রকাশ্যে এই চাঁদাবাজি বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি চাঁদাবাজির শিকার সংক্ষুব্ধ চালকরা প্রতিকারের আশায় প্রতিবাদ মিছিল করে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সাবেক ছাত্রনেতা অভিযোগ করে বলেন, মূলত মেয়র এবং কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ভূইয়ার নেতৃত্বেই চাঁদা সমূহ আদায় করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বিপুল। তিনি বলেন, ‘সিএনজি স্ট্যান্ডে প্রতিদিন লটারির ভিত্তিতে চলে ট্রিপ কিন্তু মেয়রের ভাইয়ের সিএনজিগুলোতে থাকে না কোন সিরিয়াল। লটারির ভিত্তিতে ট্রিপ চললেও গুণতে হয় প্রতিদিন বিশাল অংকের চাঁদা। অটোরিকশা চালকরাও এই চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পান না। পৌরসভার বাৎসরিক চাঁদার পাশাপাশি প্রতিদিন ৩০ টাকা করে চাঁদা নেয়া হয়৷ ক্ষেত্র বিশেষে চাঁদার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং সঠিক চাঁদা না দিলে পৌরসভাতে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
চাঁদাবাজি বন্ধে সোচ্চার স্থানীয় এক শ্রমিক নেতা বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে সাবেক এমপি ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন- কেন্দুয়াকে চাঁদাবাজদের থেকে মুক্ত করা হবে। অসীম কুমার উকিলের বিপক্ষে পিন্টুর জয় মূলত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জনতার রায়। অটোরিকশায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে অটোরিকশা চালকগণ কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এবং চাঁদাবাজি বন্ধে সোচ্চার হয়েছেন। আমরা আশা করব প্রশাসন শ্রমজীবী মানুষের রক্তশোষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এবং স্থায়ীভাবে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করবে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ