চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুরে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাদের দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অবৈধ অস্ত্র (বিদেশি পিস্তল) আর ককটেল হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো এলাকা। ইসলামপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ককটেলবাজি চলছে
সরকারি চাল চুরির ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা ও বিস্ফোরক আইনের একাধিক মামলার আসামি ইউপি সদস্য জিয়া। এরপরও তাকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চালিয়েছে ‘জিয়া মেম্বার’ বাহিনী।
এর আগে মারামারির ঘটনায় আত্মসমর্পণ করায় রাসেল, পাভেল দুই ভাইসহ তিনজন কারাগারে আছে। সেই সুযোগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল হামলা চালানো হয়। শুক্রবার সকালেও ককটেল হামলা ও লুটপাট করা হয়। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, জিয়া মেম্বারের ছেলে রিশান ও একই ইউনিয়নের স্কুলপাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে আমিরুল ইসলাম কিশোর গ্যাং লিডার। তাদের কাছে একাধিক বিদেশি অস্ত্র ও গুলি রয়েছে। সম্প্রতি মহানন্দা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের সময় প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করে তারা। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা বিভাগকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য জিয়া প্রতিপক্ষের লোকজনকে ঘায়েল করতে আম বাগান ও ফসলি জমিতে ককটেল মজুত করে রেখেছেন। এসব ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মতিউর রহমান বলেন, ইসলামপুর আমাদের স্থির হতে দিবে না। চরাঞ্চলের মানুষ এমনিতেই উচ্ছৃঙ্খল। গ্রুপিং ইন্ধনের কারণে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে যায়।
কাল রাতেই ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়েছিলাম, কিন্তু বৃষ্টির জন্য লোক পাঠানো সম্ভব হয়নি। পরে ইসলামপুর ফাঁড়ি থেকে পুলিশ গিয়ে দেখে এসেছে। আজ সকাল থকে শুরু হয়েছে আবার। মাঠের মধ্যে দুই গ্রুপই মুখোমুখি হয়েছিল। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।