চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ সুপারসহ আরও তিন কর্মকর্তার নামে মামলার আবেদন করেছেন বিএনপি নেত্রী শাহনাজ খাতুন। মঙ্গলবার সকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (ভোলাহাট) মামলার আবেদন করেন তিনি। শাহনাজ খাতুনের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বুলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত মামলার আদেশ না দিয়ে আগামীকাল বুধবার সাক্ষীদের হাজির করতে বলেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, ভোলাহাট থানার ওসি শহিদুল ইসলাম ও সদর মডেল থানার ওসি মতিউর রহমানকে। মামলার আবেদনের বরাত দিয়ে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বুলু জানান, মামলার বাদী ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। গত ২৮ জুন রাতে গ্রেপ্তার করা হয় শাহনাজ খাতুনকে। গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় একটি নির্জন স্থানে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে আসামিরা শাহনাজ খাতুনকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করেন। এছাড়া বেত্রাঘাত ও লাথি-কিল-ঘুষিতে লিলা-ফোলা ও জখম করেন। ওই সময় বাদীর কাছে থাকা ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও লকেট ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাকে অজ্ঞাতনামা একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রাখা হয়। সেখানে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে আরেক দফা নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ১০ জুলাই আদালতে জামিন পেয়ে মুক্ত হোন তিনি। শফিকুল ইসলাম বুলু আরও বলেন, মামলার আবেদনের পর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. উজ্জল মাহমুদ আজ কোন আদেশ দেননি। তিনি বাদীকে আগামীকাল মামলায় উল্লিখিত সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে বলেন। এর আগে গত ১৪ জুলাই পুলিশের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন শাহনাজ খাতুন। ওই সময় পুলিশ সুপার রেজাউল করিম দাবি করেন, ভোলাহাট থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় শাহনাজ খাতুনকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। গ্রেপ্তারের সময় তিনি রাস্তার ওপর শুয়ে পড়েছিলেন, তাই অতিরিক্ত পুলিশ দিয়ে তাকে উঠিয়ে আনা হয়।