টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলায় মসজিদ মার্কেটের পাশে ফুটপাতে শীতরে কাপড়ের দোকানগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে নারী, পুরুষ, শিশু, তরুণ-তরুণীদের ও স্কুল কলেজের ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। শীতকে সামনে রেখে এখন গরম পোশাক কিনছেন সবাই। পা থেকে মাথা পর্যন্ত শীত নিবারণ করতে গরম কাপড় কেনায় ব্যস্ত সর্ব স্তরের মানুষ। এখানে প্রতিদিনই ভীড় করছে নিম্ন আয়ের পাশাপাশি মধ্য ও উচ্চ আয়ের মানুষজন। উচ্চ আয়ের মানুষেরা বিভিন্ন নামি-দামি মার্কেট থেকে বিভিন্ন দামি গরম কাপড় কিনতে পারলেও মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা ফুটপাতের এই দোকানগুলো। খোলা মাঠে শীতের কাপড়ের মার্কেট গুলো মূলত গরীবের শীতের মার্কেট। তবে এখানে সব ধরনের মানুষই যায় কাপর কিনতে। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এর দোকানগুলোর বেচাকেনা ।
গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ইতিমধ্যে জমে উঠেছে গরীবের এই শীতের কাপড়ের মার্কেট। এ সব ব্যবসায়ীরা শুধু শীতকে সামনে রেখে কাপড় কেনা-বেচা করে থাকেন। বছরের অন্যান্য সময় এখানে তেমন কেনা-বেচা না হলেও শীতকে সামনে রেখে এখানকার ব্যবসা জমজমাট হয়ে ওঠে। শীতের সময় বিক্রি করে যা লাভ হয় তা দিয়ে তারা সারা বছর সংসার চালান বিক্রেতারা।
ভূঞাপুরে হকার দোকান গুলো ঘুরে দেখা যায়, ভুঞাপুর মসজিদ মার্কেটের পাশে ফাকা জায়গায় ২০টি সহ রাস্তার দুইপাশে মোট ৪০ থেকে ৫০টি দোকান বসেছে। শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা তত বাড়ছে।
উপজেলার যমুনা চরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকার শীতের কাপড় কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন- গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীত নিবারনের জন্য আমরা প্রতি বছর এখান থেকে শীতের কাপড় কিনে থাকি। এ বছরো কিনতে এসেছি। মার্কেটের চেয়ে এখানে দাম অনেক কম, কাপড়ের মান গত বছরের চেয়ে এ বছর একটু ভালো। পরিবারের সবার জন্য এখান থেকেই গরম কাপড় কিনেছি।
কাপড় ব্যবসায়ী মোকলেছুর রহমান বলেন, গত বছর পুরাতন শীতের কাপড়ের যে বেল্ট ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় আনা যেত, এ বছর সেই বেল্ট আনতে হচ্ছে ১৪ থেকে ২০ হাজার টাকায়। বেল্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় একটু বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাড়তি টাকা লাগার কারনে ক্রেতাদেরও একটু বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা সাধারণত সোয়েটার, বিভিন্ন ধরনের গরম জামা, মোজা, টুপি, বাচ্চাদের কাপড়, প্যান্ট-কোর্ট, চাদর, কম্বল, ট্রাউজার সহ বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় বিক্রি করি। গত বছরের চেয়ে এবছর প্রতি বেল্টে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়ে যাওয়ায় একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনা বেড়ে গেছে। প্রতি দিন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেচাকেনা হচ্ছে।