1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ওএসডি হচ্ছেন শরীয়তপুরের বিতর্কিত ডিসি আশরাফ বান্ধবীকে হলে নিয়ে এসে রাবি ছাত্রের রাত্রিযাপন বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অস্ত্র ও মাদক মামলার অভিযোগ দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার একতা ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রাণ হারিয়েছেন আশা মনি নামের এক গর্ভবতী নারী পিরোজপুরে বাণিজ্য মেলার আড়ালে রমরমা মাদক ও জুয়ার আসর, প্রতারণার শিকার হয় একজনের আত্মহত্যা; প্রতিবাদে তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল ফেসবুকে সংরক্ষিত মেম্বারের নামে মানহানিকর পোস্ট, থানায় অভিযোগ বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজের, গাজীপুর শাখার আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে আনন্দ পদযাত্রা বিদ্যালয়ে চুরি আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৪ সদস্য দুইটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ রাউন্ড গুলি ও ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামসহ গ্রেফতার পীরগঞ্জে বাঁধন জু‌য়েলা‌র্সে দুধর্ষ চুরি

চার বছরেও শেষ হয়নি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর সেতুর নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগ জনজীবনে

মোঃ রেজাউল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড় ছড়ার উপর নির্মিতব্য ৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুর কাজ চার বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি। ফলে সেতুর অভাবে হাজারো স্থানীয় বাসিন্দা ছড়া পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়ে আছেন। ঠিকাদার কেবল সেতুর দুই প্রান্তের দেয়াল নির্মাণ করেছেন, কিন্তু পুরো সেতুর কাজ এখনও বাকি। স্থানীয়রা প্রশ্ন করছেন, চার বছর লেগেছে শুধু প্রান্তের দেয়াল নির্মাণ করতে, তাহলে পুরো সেতু কত বছরেই শেষ হবে?

স্থানীয় প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় এই সেতুর নির্মাণ শুরু হয়। ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল ঠিকাদার কাজ শুরু করেন এবং ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু আজও কাজ শেষ হয়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দুই প্রান্তের দেয়াল সার্টারে বাঁশ ও গাছ দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। পাশেই ড্রামের ভেলায় ঝুঁকি নিয়ে নারী-শিশুসহ শতশত মানুষ ছড়া পার হচ্ছেন, যেখানে প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি হয়। এই দুর্ভোগ স্থানীয় মানুষের জীবন ও জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

স্থানীয়রা জানায়, তাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ছড়া পারাপারে সেতু না থাকার কারণে যাতায়াতে অতিরিক্ত কষ্ট হয়। ফসল সংগ্রহের সময় ছোট ছোট ভেলায় করে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি আনতে হয়, এতে ঝগড়া-ঝাটি ও বিপদ ঘটে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন, যা ঠিকাদারের অবহেলার কারণে। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মোতালেব সরকার বলেন, প্রায় বিশ হাজার মানুষ ছড়া পারাপারে সমস্যায়, যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও কৃষিক্ষেত্রে। চার বছর ধরে সেতুর কাজ শুরু হলেও সংশ্লিষ্টদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। তিনি দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, “সেতুর কাজ শুরু হলেও পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা নেই, ফলে দুর্ভোগ চলছেই। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ড্রামের একটি ভেলা বানিয়েছি, কিন্তু সেটাও পর্যাপ্ত নয়। আমি ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু তারা শুনছে না এবং আমার ওপর চড়াওও হয়েছে। স্থানীয়রা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এর অবসান চাই।” ঠিকাদারকে ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রহমান বলেন, “আমি দু’বছর আগে এখানে যোগ দিয়েছি। কাজ শেষ করার জন্য তৎপর আছি, ঠিকাদারও আগ্রহী। কিন্তু পরিবেশগত কারণে সেতুর মাঝখানের পিলার স্থাপন কাজ কঠিন হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে কাজ শেষ করার আশা করছি।”

স্থানীয়রা আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করে তাদের দুর্ভোগ লাঘব করবেন।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com