পিরোজপুরের নেছারাবাদে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে সিঁধ কেটে একই রাতে পাঁচটি ঘরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার এবং একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নেয় চোরচক্র। শনিবার (৫ মার্চ) রাতে উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কুহুদশকাঠি গ্রামে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকে এ এলাকায় চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার। জানা যায়, গভীর রাতে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চোররা রিপন বৈদ্য, পার্থ বৈদ্য, প্রশান্ত বৈদ্য, সত্য বৈদ্য ও রমেন বৈদ্যের বাড়িতে সিঁদ কেটে ঘরের ভেতরে ঢুকে মূল্যবান জিনিস, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের সিঁধ কেটে চুরির নমুনা দেখতে পান চুরি যাওয়া বাড়ীর লোকজন। পরে স্থানীয়দের জানালে তারা থানায় খবর দেন। একই রাতে একটি গ্রামের পাঁচটি বাড়ী চুরি হওয়ার ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। চুরি হওয়া ভুক্তভোগী রিপন বৈদ্য জানান, আমি কয়েকদিন আগে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু বিক্রি করেছি। ঈদের ছুটির কারণে ব্যাংক বন্ধ ছিল তাই ব্যাংকে টাকা রাখতে পারিনি। সব টাকাগুলো চোরেরা নিয়ে গেছে। অন্য এক ভুক্তভোগী শোভা রানী বড়াল বলেন, রাত আড়াইটার দিকে গোয়াল ঘরের বাধা গরু গুলো দেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম সকালে উঠে দেখি আমার ব্যবহার করা দুটি সোনার চেন নিয়ে গেছে। আমরা দিনমজুর তাই অনেক কষ্ট করে এই স্বর্ণটুকু জোগাড় করেছিলাম। ওয়ার্ড চৌকিদার ইমরান হোসেন বলেন, চুরির ঘটনা শুনে সরজমিনে গিয়ে থানায় জানিয়েছি। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে কিছু অপরিচিত লোক ইউনিয়নে আনাগোনা করছে হয়তোবা তারাই এই চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। ইউপি সদস্য কমলেশ রায় বলেন, এলাকায় কয়েকদিন যাবত চুরির ঘটনা ঘটছে। ব্যস্ততার জন্য সরেজমিনে যেতে পারিনি। শুনেছি চুরি হওয়ার নমুনাগুলো একই প্রকৃতির। ইদানিং এলাকায় কিছু বখাটে ও কিশোর গ্যাংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। একই রাতে একইভাবে সিঁধ কেটে পাঁচটি ঘরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ হয়নি। তদন্ত চলছে।