নওগাঁ জেলায় চৈত্রের প্রথম সপ্তাহের দিনভর বৃষ্টিতে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে মুকুল থেকে গুটিতে পরিণত আমের জন্য এই বৃষ্টি আশীর্বাদ বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এখনো আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে যেকোনো সময় নামতে পারে বৃষ্টি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, যেসব গাছে এখনও মুকুল ফুটে আমের গুটি হয়নি সেসব গাছের মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে প্রায় গাছই ইতোমধ্যে মুকুল থেকে আমের গুটিতে পরিণত হয়েছে। এসব গুটির দ্রুত বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া রোধ করবে এই বৃষ্টি।
মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে আকাশ মেঘলা হলে বৃষ্টি শুরু হয়। বুধবার ভোরের দিকে গুঁড়িগুঁড়ি হয়ে নামে এই বৃষ্টি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির বেগ বাড়ে। দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই বৃষ্টি।
এ জেলার আমচাচীরা বলেন, এবার আমের অফ ইয়ার। এমনকি গতবছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম গাছে আমের মুকুল এসেছে। মৌসুমের শুরুতেই এমন বৃষ্টি মুকুলের ক্ষতির পাশাপাশি ফলনেও প্রভাব ফেলবে। তাছাড়াও আগামীতে অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ রয়েছে। এনিয়ে আমচাষিদের মনে আতঙ্ক কাজ করছে।
নওগাঁ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ সময়ের বৃষ্টি আমের জন্য উপকার ও অপকার দুটোই আছে। সাধারণত আবহাওয়ার কারণে এবার মুকুল আসতে দেরিতে এসেছে। তাই এ বছর গাছে আমের গুটিও দেরিতে হয়েছে। যেসব গাছে আমের মুকুল এখনও গুটিতে রাপান্তরিত হয়নি, সেসব গাছের মুকুলের ক্ষতি হবে। তবে মুকুল ফোটে যেসব আমগাছে গুটি বের হয়েছে, সেসব গাছের জন্য এ খুবই উপকারী এই বৃষ্টি। আমের গুটি বেড়ে উঠতে সহায়ক হবে চৈত্রের বৃষ্টি।