পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের জগন্নাথপুর উপজেলার ইছগাঁও এলাকার নলজুর নদীর উপর স্থাপিত বেইলী ব্রীজটি এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দায়সারা মেরামতের ফলে ব্রীজের পাটাতন খুলে বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে এমন অভিযোগ করছেন যাতায়াতকারী জনসাধারণ ও চালকরা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাটানো সাইনবোর্ডে বেইলী ব্রীজের উপর দিয়ে ১০টনের অধিক যানবাহন চলাচলে নিষেধ থাকলেও এ নিষেধকে অমান্য করে প্রতিনিয়ত চলছে ভারী মালামাল বহনকারী যানবাহন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৯২৩৮) ট্রাকটি ২০টনের অধিক ইট নিয়ে ব্রীজের মধ্যখানে আটকে যায়। ট্রাক চালক জানায়, ইটগুলো জগন্নাথপুর বাজারের একজন ইট ব্যবসায়ীর। পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে রানীগঞ্জ সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই উক্ত সড়কে যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পায়। এ আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করে ঢাকা-সুনামগঞ্জ যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় কম লাগায় বেশীরভাগ পন্য পরিবহনবাহী ভারী ট্রাক এ মহাসড়কে চলাচল করে। ২০২৩ সালের ২২আগস্ট একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের ভারে বেইলী ব্রীজটি ভেঙ্গে ট্রাক নদীতে পড়ে চালক ও হেলপার দুজনেই মারা যায়। ঐ সময় ঢাকার সাথে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রায় সপ্তাহব্যাপী মেরামত কাজ শেষে পুনরায় যানচলাচল শুরু হয়। এদিকে গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার ঢাকা থেকে সিমেন্ট বোঝাই ২৫টনের অধিক পরিমাণ মাল নিয়ে একটি ট্রাক সুনামগঞ্জ যাওয়ার পথে বেইরী ব্রীজের মধ্যখানে পাটাতন ভেঙ্গে আটকে পড়ে। তাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২দিন পর ব্রীজটির মেরামত কাজ করে দিলে পুনরায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী তরুন সমাজসেবক হাজি আকমল হোসাইন জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার তদারকী না থাকায় এ বেইলী ব্রীজ দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন চলাচল করছে। রানীগঞ্জ সেতুর টোল প্লাজায় ১০টনের অধিক ভারী যানবাহন গুলো আটকে দিলে এ ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যেত। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, সম্প্রতি বেইলী ব্রীজে পাটাতন ভেঙ্গে ভারী মাল বোঝাই ট্রাক আটকে গেলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাগবে কাজ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসেন। তিনি বলেন টোল প্লাজা এলাকায় ভারী যানবাহন আটকে দিলে এসব দুর্ঘটনার শিকার হতনা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্ল্যাহ জানান, বেইলী ব্রীজ দিয়ে ১০টনের অধিক ভারী যানবাহন চলাচলের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।