মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ভোলা জেলা পরিষদ মোড় পথযাত্রা শেষে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷
পথসভায় অংশ নিতে বিকাল ৩টার দিকে সভাস্থলে পৌঁছান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম,সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, নিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের।
জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। আজ ভোলা ঘুরে দেখলাম, এ অঞ্চলে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। উন্নয়ন হয়েছিল শুধুমাত্র লুটপাট আর দুর্নীতির। ভোলায় পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ভোলা উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত করেছে স্বৈরাচার সরকার। ভোলা বরিশাল ব্রীজ ও ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ ভোলাবাসীর নৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে৷
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে তরুণরা রাজপথে নেমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল। সেই চেতনায় আবারো আমরা মাঠে নেমেছি, কারণ চাঁদাবাজ-মাফিয়া ও দুর্নীতিবাজরা আবার দেশের ওপর চেপে বসেছে। আমরা বলেছিলাম চাঁদাবাজ এবং মাফিয়াবাজ যে সিস্টেম টিকিয়ে রাখে সেই সিস্টেমের আমরা পতন চাই। কিন্তু দেখেছি সেই সিস্টেমকে আবারো টিকিয়ে রাখছে এবং চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে একটি শক্তি। গণহত্যার বিচার এবং নতুন বাংলাদেশের জন্য আমরা সংস্কার চাই। সংস্কার ছাড়া আমরা নতুন বাংলাদেশ কখনোই পাবো না। কোনো স্বৈরতন্ত্র বাংলাদেশে আর ফেরত আসতে দেব না। নতুন করে কাউকে আর স্বৈরাচার হতে দেব না।
এছাড়াও পথসভায় বক্তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী তরুণদের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন এবং রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এনসিপি জনগণের সঙ্গে আছে এবং থাকবে। পথসভা শেষে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের খোঁজখবর নেন তারা। এনসিপির দাবি, এই পদযাত্রা শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং একটি প্রতীক—যা দেশের রাজনীতিতে নতুন ধারার আগমনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।