জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল বীচওয়ে হল রুমে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শুরুতে অতিথিদের মাঝে ফুলের শুভেচ্ছা জানান জেলার নেতৃবৃন্দরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মোঃ মমিনুর রশীদ শাইন ও প্রধান আলোচক ছিলেন মহাসচিব মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মোঃ শাহজাহান মোল্লা, মোঃ আলমগীর গনি, মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ এবং মুহাম্মদ মনজুর হোসেন। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ খায়রুল ইসলাম ও মোঃ হাসান সরদার জুয়েল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি নুরুল আমিন হেলালী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি (ইলি)। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আইয়াজ রবি ও খোরশেদ আলম,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক আকাশ, প্রচার সম্পাদক হোসেন সুমন, দপ্তর সম্পাদক শওকত আলম, অর্থ সম্পাদক নাছিমা আক্তার, সহ-অর্থ সম্পাদক মাসুম, আরফাত, রাশেদ ও আজাদ। বক্তব্য রাখেন,টেকনাফ উপজেলা কমিটির সভাপতি নুরুল হোসাইন। উপজেলা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি জামাল হোসাইন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজ হক আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন টিপু ও ফরহাদ।এছাড়া ,টেকনাফ উপজেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: আজিজ উল্লাহ,অর্থ সম্পাদক ফরহাদ রহমান,সাদ্দাম হোসেন সাজ্জাদ, উপজেলার অর্থ সম্পাদক ইমরান, আরাফাত,মহেশখালী উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হ্যাপী করিম। বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতা পেশাকে মর্যাদার আসনে রাখতে হলে সত্যনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনের কোনো বিকল্প নেই। পেশাগত মানোন্নয়ন, নৈতিকতা এবং পারস্পরিক ঐক্য বজায় রেখে কাজ করলেই সাংবাদিক সমাজ শক্তিশালী হয়ে উঠবে।আলোচনা শেষে অতিথিদের মাঝে সম্মানা ক্রেস তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানে সমাপ্তি হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন,পর্যটননগরী কক্সবাজারকে নিরাপদ ও পর্যটকবান্ধব রাখতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এই অগ্রগতিকে টেকসই করতে সাংবাদিকদের সাহসী ও ইতিবাচক ভূমিকা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন,আপনারা চাইলে এই পর্যটন নগরীকে বাঁচাতে পারেন, আবার ভুল প্রচারণার মাধ্যমে মৃত্যু পথেও ঠেলে দিতে পারেন। একটি ভালো সংবাদ যেমন অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়, তেমনি একটি ভ্রান্ত সংবাদ পুরো এলাকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই দায়িত্বশীলতা বজায় রেখে সত্য ও ইতিবাচকতা তুলে ধরুন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক সমাজের একতা, পেশাগত নৈতিকতা ও জনসেবার মানসিকতা থাকলে সমাজ উপকৃত হবে এবং সংগঠন আরও দৃঢ় হবে। অনুষ্ঠান শেষে টেকনাফ উপজেলা কমিটির সভাপতি নুরুল হোসাইন সহ আরো তিন উপজেলার সভাপতি কে সম্মাননা স্বারক প্রদাণ করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা।