সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের শিক্ষা-ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র জামপুর মাঝেরচর মধুসূদন গৌর কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়। একশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যাপীঠটি অত্র অঞ্চলের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে আসছে। এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষালাভ করে অনেক কৃতি সন্তান দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন।
১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় সোনারগাঁওয়ের এক ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি একসময় মধুসূদন গৌর ও কিশোরলাল ভট্টাচার্য্যের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বিদ্যালয়টি শিক্ষার প্রসার, সামাজিক উন্নয়ন ও সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। শতবর্ষ পার হলেও বিদ্যালয়টি আজও নতুন প্রজন্মের কাছে শিক্ষার দীপশিখা জ্বালিয়ে রেখেছে।
এড-হক কমিটি গঠন ও প্রথম সভা
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে বিদ্যালয়টিতে এড-হক (Ad-hoc) ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন গ্রামের কৃতি সন্তান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া। এরপর ৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নবগঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার ঢালী, সহকারী শিক্ষক তপন কুমার সাহা, সালাউদ্দিন এবং অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
সভায় শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা চালু, শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা ও সহপাঠ কার্যক্রম বৃদ্ধি নানা উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন,
“এই বিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের গ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। আমি আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে বিদ্যালয়টির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।”
প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার ঢালী বলেন,
“বিদ্যালয়টির শতবর্ষের গৌরবময় ইতিহাস ধরে রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন।”
সভা শেষে কমিটির পক্ষ থেকে বিদ্যালয় উন্নয়নে একটি প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় এবং আগামীতে আরও বৃহৎ পরিসরে স্কুল কমিউনিটি ও স্থানীয় অভিভাবকদের সঙ্গে সমন্বয় সভার ঘোষণা দেওয়া হয়।