বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাকিল আহমেদ এর ফেসবুক পোস্ট থেকে-
জুলাই আগষ্টের গনঅভ্যুত্থান কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের একক মালিকানা বা ঘোষণার বিষয়বস্তু হতে পারে না। এই মাস বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও প্রতিবাদের এক জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি। ‘জুলাই’ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়; এটি এদেশের মাটি ও মানুষের, তাদের অধিকার আদায়ের এক সম্মিলিত প্রতিরোধের ইতিহাস।
আমরা ভুলিনি, কীভাবে দেশের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, দিনমজুর, কৃষক থেকে শুরু করে আপামর রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী – সকলেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খুনি হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটিয়ে একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। যখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে ঘরে ফিরছিলেন, ঠিক তখনই ১৮ই জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অকুতোভয় শিক্ষার্থীরা অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। তাঁরা কোনো সরকারি চাকরি বা সুযোগ-সুবিধার লোভে নয়, বরং ভাই হত্যার বিচার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিজেদের জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছিলেন। খুনি হাসিনার পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই আপসহীন সংগ্রাম অব্যাহত ছিল।
অতএব, কোনো একক রাজনৈতিক দলের পক্ষে ‘জুলাই ঘোষণা’ বা এ সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার নেই। ‘জুলাই’ কোনো দলীয় ইশতেহারের বিষয় নয়, এটি গণমানুষের আবেগ ও ত্যাগের প্রতীক। এই ঐতিহাসিক অধ্যায়ের যেকোনো ঘোষণা বা সিদ্ধান্ত অবশ্যই সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং নাগরিক সমাজের সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমেই আসতে হবে যার স্বীকৃতি আসতে হবে রাষ্ট্রীয় ভাবেই। ‘জুলাই’ আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের পথপ্রদর্শক; এর সম্মান রক্ষা করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।