রাজশাহীতে বিডিআর বিদ্রোহের পুনরায় বিচার, আটক বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকায় মানববন্ধনের আয়োজন করে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ও রাজশাহী জেলার চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। মানববন্ধনে ব্যানার ফেস্টুন প্লেকার্ড সহ মৃত ও বন্দী বিডিআর সদস্যদের ছবি হাতে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হন।মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ২০০৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা স্বৈরাচারী অত্যাচারী খুনি সরকারের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভারতীয় সৈন্য অনুপ্রবেশ করিয়ে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় এবং এর দায়ভার নিরীহ বিডিআরদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। আমরা তাদের বিচার চাই, বন্দীদের মুক্তি চাই, আর আমরা চাকরিতে পুনর্বহাল চাই।সংঘটিত এই মিথ্যা বিডিআর বিদ্রোহের দায়ে জেল-জুলুম-অত্যাচারসহ চাকরিচ্যুত হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যরা মিলে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে, তারা বলেন এটা কোনো বিদ্রোহ ছিল না ,পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে এবং নিরাপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। আর বিনা কারণে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।তারা আরো বলেন বিডিআর কখনও কোনো অপ্রীতিকর ,দেশদ্রোহী,অন্যায় কাজ করেনি,করতে পারেন না ।বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্তরা বলেন ,তাদের জেলে আটকে রেখে তাদের অত্যাচার করা হয়, পঙ্গু করে দেয়া হয় এখন তারা সংসারিকভাবে অসহায় ভাবে জীবনযাপন করছে । সেই ঘৃণ্য কাজের মিথ্যা অপবাদের এর মাধ্যমে তাদের উপর জোরপূর্বক দায়ভার চাপিয়ে দেয়া বিদ্রোহের কলঙ্ক মুছে দিয়ে পুনরায় চাকরি ফেরত দিয়ে সীমান্ত বাহিনীতে নিয়ে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। অপরাধীদের শাস্তি দাবি করা হয়,আটক সেনাদের মুক্তি চাওয়া হয়। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ সারা বাংলাদেশে চাকরিচ্যুত কোনো বিডিআর সদস্য রাষ্ট্রবিরোধী, সন্ত্রাসী ও উগ্রপন্থি কোনো সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়নি, রাষ্ট্র দ্রোহী কোনো কাজে লিপ্ত হয়নি।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মো মোরশেদ আলী, সহকারী সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম, সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও রাজশাহী জেলার চাকরিচ্যুত, সাজা প্রাপ্ত বিডিআর সদস্য এবং তাদের পরিবার।মানব বন্ধনে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,আইন,বিচার ,সেনা নৌ,বিমান,বিজিবি ,সুশীল সমাজ ও ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কদের কাছে ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার,চাকরি বহাল রাখার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানানো হয়।সাধারণ জনগণ এই দাবিকে যৌক্তিক বলে অবহিত করেছেন।