গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর নিয়মিতভাবে বর্জ্য ফেলে রাখায় সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। বাজারের বিভিন্ন স্থানের বর্জ্য রাস্তায় স্তূপ করে রাখায় মহাসড়কের একটি লেন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ এবং রোগীবাহী যানবাহনসহ হাজারো যাত্রীকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় বর্জ্য ফেলার চল রয়েছে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একজন স্থানীয় দোকানদার বলেন, “প্রতিদিন সকাল থেকেই রাস্তার মাঝখানে বর্জ্য ফেলা হয়। দুর্গন্ধে দোকানে বসা যায় না। ক্রেতাও আসে না ঠিকমতো। ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।” শুধু ব্যবসায়ী নয়, সাধারণ পথচারীরাও পড়ছেন বিপাকে। এক কলেজছাত্রী জানান, “প্রতিদিন সকালে বাসায় থেকে বেরিয়ে আধা ঘণ্টার রাস্তা এক ঘণ্টা লেগে যায় এই যানজটের কারণে। আবার দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে চলতে হয়।” স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্মুক্ত স্থানে এভাবে বর্জ্য ফেলার ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এসব বর্জ্য নিকটবর্তী পানি ও নর্দমায় মিশে মারাত্মক রোগ ছড়াতে পারে, যার মধ্যে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, স্কিন ডিজিজ অন্যতম। শ্রীপুর পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।” তবে স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবারই এমন বক্তব্য শোনা গেলেও বাস্তবে দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণ দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং নিয়মিত বর্জ্য অপসারণের দাবি জানাচ্ছেন। তারা মনে করছেন, এ ধরনের সমস্যা শুধু অব্যবস্থাপনার ফল নয়, এটি জনসচেতনতার অভাবেরও পরিচায়ক। উপসংহার: একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কের এমন অবস্থা শুধু চলাচলকে বিঘ্নিত করছে না, এটি একটি সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত সংকটও। দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।