শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ইত্তেফাকের উপজেলা সংবাদদাতা খোরশেদ আলমের নামে মিথ্যা মামলায় জরিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ঝিনাইগাতী রিপোর্টার ক্লাবের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রিপোর্টার ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।রিপোর্টার ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোহনা টেলিভিশনের শেরপুর প্রতিনিধি রেজাউল করিম বকুল। অন্যান্যদের মতে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম জুয়েল,সাংবাদিক মো: রিয়াজ,সাংবাদিক আনিস আহমেদ, আবু হাসেম,মুজাহিদুল ইসলাম,আবু রায়হান,রিয়াদুল ইসলাম,মেহেদী হাসান রাব্বি, তৌহিদুর রহমান,ফেরদৌস প্রমুখ। সভায় খোরশেদ আলম বলেন,সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটপাটের বিষয়ে ২০ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সোমেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে বালু লুটপাটের মহোৎসব শিরোনামসহ বিভিন্ন সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে বালু লুটপাট বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলন যন্ত্র ধ্বংস করা হয় এনিয়ে বালু মহালের ইজারাদার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত ২৩ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে সোমেশ্বরী নদীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত ১৫টি ড্রেজার মেশিন ভাঙচুর করে। এক বালু শ্রমিককে সাজাও দেয়া হয়। এনিয়ে ওই দিন রাতে ড্রেজার মেশিন মালিক ও ইজারাদারের লোকদের মধ্যে এক সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় দুইজন। এ বিষয় নিয়ে ইজারাদারের কেয়ারটেকার জনি মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় সাংবাদিক খোরশেদ আলমকে ৭ নম্বর হুকুমের আসামী করা হয়। তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সাফায়েত হোসেন মামলার সঠিকতা যাচাই না করেই মামলাটি এফ আই আর করা হয়। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও খুব প্রকাশ করে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা অবিলম্বে সাংবাদিক খোরশেদ আলমের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে । এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিনের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান