প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকালে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেসময় শহরের পায়রা চত্বর এলাকা থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটাসহ মিছিল নিয়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
তারা লাঠি, রড দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে ব্যানার কেড়ে নেন। মাইক ভাঙচুর করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ফিরে যান। হামলায় আন্দোলনকারী অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে তারা স্লোগান দিতে থাকে।
মুক্তিযোদ্ধাদের কটূক্তি করে। তাই কোটাবিরোধীদের প্রতিহত করতে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসে। সেই সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে তারা জেলার যেখানেই মহান স্বাধীনতা ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির মতো ঘটনা ঘটাবে সেখানেই তাদের প্রতিহত করা হবে।কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবু হুরায়রা বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকালে শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সে সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা নিরীহ শিক্ষার্থী। আমাদের ওপর এমন বর্বর হামলা করা হয়েছে। আমাদের ৮-১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।