টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাতিজার হাতে চাচা নিহতের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ।জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রোববার সকালে নিহতের এ ঘটনা ঘটে।জানা যায় উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশীনগর পশ্চিম পাড়া এলাকার ফজল হকের সাথে তারই ফোপাত ভাইয়ের ছেলে পারভেজ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।সেই বিরোধের সূত্র ধরে রোববার সকালে পারভেজ পার্শ্ববর্তী উপজেলা সখিপুরের হাতিবান্ধা এলাকা থেকে২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে আসেন।পরে ফজল হকের জমির উপর নির্মিত কাঁটাতারের বেড়া ফজল হককে অপসারণ করতে বলা হয়,এতে বেড়া অপসারণ করতে অস্বীকৃতি জানালে পারভেজসহ সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসহ দিয়ে ফজল হক, তার স্ত্রী মরিয়ম ও ছেলে মনির হোসেনের উপর হামলা করেন।এঘটনায় ফজল হক নিহত হয় এবং তার স্ত্রী-সন্তান গুরুতর আহত হয়।নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে পারভেজকে প্রধান আসামি করে ২৩জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরও ১৫-২০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।গ্রেফতারকৃতরা হলেন,পার্শ্ববর্তী উপজেলা সখিপুরের হাতিবান্ধা পূর্বপাড়া গ্রামের আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী রোমেলা বেগম(৩৭),একই এলাকার সিরাজের স্ত্রী গোলবাহার (৫৫) এবং পাশের ঘেচুয়া গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে জাফর (৩২)।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ উপ-পরিদর্শক(এস আই) মোকলেছুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বাঁশতৈল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন,নিহত ফজল হক দীর্ঘদিন শ্রমিক দলের সিনিয়র নেতা হিসেবে কাজ করেছেন এবং বর্তমানে ইউনিয়ন শ্রমিক দলের প্রস্তাবিত কমিটিতে তার নাম রাখা হয়েছিল,ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি আসামীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।এবিষয়ে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো.মোশারফ হোসেন বলেন,৩জনকে গ্রেফতার করে একজনের ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।