চলমানবিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতাল অবরোধের মধ্যেও সব ধরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে(ইবি)। বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস, পরীক্ষা ও নানা অনুষ্ঠান নিয়মিত পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়টি কোনো ধরনের অপরাজনীতি যেন শিক্ষার্থীদের ক্ষতি নাক রতে পারে, সেদিকেও প্রশাসনের নজর রয়েছে।শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শিক্ষা কার্যক্রমের অংশগ্রহণ করেছে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে হরতাল অবোরোধের দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। হরতাল-অবরোধ দিনগুলোতে পুলিশ প্রটোকলে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস গুলো ক্যাম্পাসে আসে। বিকেলে আবার ক্যাম্পাসথে কেউ ভয় শহ রেফিরে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান হরতাল-অবরোধে কোন ধরনের প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমে লক্ষ্য করা যায়নি। হরতাল-অবরোধে সরজমিন ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটি ও বিভিন্ন সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া প্রায় প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে যোগদান করছেন। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণ করছেন।
তবুও এক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছে শিক্ষার্থীরা। দেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত এ ধরনের শিক্ষাকার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। শিক্ষার্থীদের অংশ জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা আগেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন নতুন করে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি তাদের শিক্ষা জীবনের ধারা বাহিকতা নষ্ট করতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডঃশাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিন্দু মাত্র শঙ্কানেই। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের জন্য আমরা সর্বোচ্চ সোচ্চার। হরতাল-অবোরোধের দিনে পুলিশি পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সমূহআসছে শিক্ষার্থীরা ওস্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পরযেসকল দিন গুলোতে হরতাল অবরোধ ছিলো সেদিন গুলোতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চললেও চলেনি পরীক্ষা। তবে ৫ নভেম্বর থেকে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলের ডাকা দফায় দফায় হরতাল-অবরোধেও স্বাভাবিক নিয়মে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম। রোববার সকাল ৬ টা থেকে দেশব্যপী আবারো ৪৮ ঘন্টা অবোরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি।