নীলফামারীর ডোমারে, ডোমার মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় মামলা দায়ের কারায় আসামিগণ সহ দুষ্কৃতীরা গত ২২শে সেপ্টেম্বর গভীর রাতে নির্যাতিতা মেয়েটির পরিবারকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িঘর ভাঙচুর করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে । বাড়ি ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুণ্ঠনের বিষয়ে পরবর্তী ডোমার থানায় অভিযোগ পত্র দায়ের করার পর ডোমার থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায়, নির্যাতিতা মেয়েটি বাদি হয়ে নীলফামারী বিজ্ঞ আদালতে গত ৩১ শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার পাঁচজনকে আসামি অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আসামীরা হচ্ছেন ১.মোহাম্মদ মিলন (২৬) পিতা আব্দুল মালেক, ২. আব্দুল মালেক (৫৫) পিতা মৃত আফসার উদ্দিন, ৩.মোহাম্মদ মানিক (৩৫) পিতা আব্দুর রশিদ, ৪. মোহাম্মদ আল আমিন (৪০) পিতা অজ্ঞাত ৫. সাইফুল ইসলাম, পিতা মৃত আফসার উদ্দিন। এ বিষয়ে মামলার বাদী ময়না আক্তার বলেন, আমাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। আমার সহ আমার পরিবারের সাথে যেটা ঘটেছে সেটা খুবই অন্যায় ঘটেছে, আমি ন্যায় বিচারে চাই এবং দোষীদের শাস্তি চাই । নির্যাতিতা মেয়েটির বড় বোন তাজমিরা আক্তার বলেন, আমাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া ঘটেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে আমার ভাই মানিকের শ্বশুরবাড়ির মানুষজন এসে আমাদেরকে নির্যাতন করে এবং আমার বোনকে আমার ভাইয়ের শ্যালক মিলন বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। আমার ভাই মালিক সঙ্গে সঙ্গে বারণ করেনি, আমরা সেই রাতেই ডোমার থানায় অভিযোগপত্র দায়ের করি। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর আমার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির মানুষজন সহ আমাদের বাড়িতে হামলা করে বাড়ীর মূল্যবান জিনিস লুট করে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে আমার ভাই মানিককে বললে, উনি বলেন তোমাদেরকে মেরেছে তোমরা তো আমাকে বিচার করার সুযোগই দাওনি। নির্যাতন, বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটের বিষয়ে মানিককে প্রশ্ন করলে মানিক বলেন, যেদিন ঘটনাটি ঘটেছিল সেদিন ওর ভাবি এবং ননদ মারামারি করেছিল। আমার শ্বশুর বাড়ির কেউ ছিল না। আমার শ্বশুরের বেটা হয়েছে সমন্বয়ক ওয় বা*লের সমন্বয়ক ও ছয়-নয় করে মানুষ ওর দ্বারায় টাকা কামাই করেছে, এখন শুধু ওরে নামে মামলা, ওরে নামে মামলা, ওরে নামে মামলা। কলেজ ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং বাড়ি ঘর ভাঙচুর লুটপাট এর বিষয়ে আব্দুল মালেককে প্রশ্ন করলে উনি বলেন, এগুলো সবগুলো মিথ্যা কথা, আমরা কেউ সেদিন ছিলাম না। বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে ওর ভাগিনা বরাত আমরা ওদের বাড়িও যাই না । নির্যাতিতা মেয়ের পিতা আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা তো সেটার মীমাংসা করতেছি, আমার মেয়ের ইজ্জতের ক্ষতি আমিও দিতে পারবো না, আপনারাও দিতে পারবেন না, আমরা কেউ দিতে পারব না। ওর যা যা স্বর্ণ লুট হয়েছে সেটা ওরা ফিরিয়ে দিবে ।